সুসংবাদ প্রতিদিন

সিরাজদিখানে রোপা আমনের বাম্পার ফলন

প্রকাশ : ১৭ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  মাসুদ রানা, মুন্সীগঞ্জ

মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে রোপা আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। চলতি রোপা আমন মৌসুমে আবহাওয়া অনকূলে থাকায় ধানের ফলন ভালো হয়েছে। বেশি দামে বিক্রির আশায় উপজেলাজুড়ে ধান কাটা ও মাড়াইয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায় উপজেলার বয়রাগাদী ইউনিয়নের গোবরদী গ্রামের ধানি জমিতেগুলোয় হাসিমুখে কৃষকদের ধানকাটার দৃশ্য লক্ষ করা গেছে। এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের কৃষকরা তাদের জমির ধান কেটে ধানের আঁটি বেঁধে মাড়াইয়ের জন্য মাথায় করে নিয়ে যাওয়া দৃশ্য চোখে পড়েছে। জমির কাটা ধান কৃষক বাড়িতে নিচ্ছেন আর বাড়ির গৃহিণীরা সেই ধান মাড়াইয়ের পর রোদে শুকানোর কাজ করছেন। চলতি মৌসুমে রোপা আমন ধানের বাম্পার ফলনে কৃষকের বাড়িতে বাড়িতে উৎসবের আমেজ বইছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, উপজেলা ১৪টি ইউনিয়নে ২ হাজার ৪৮০ হেক্টর জমিতে চলতি মৌসুমে রোপা আমনের আবাদ করা হয়েছে। চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় ১ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অতিরিক্ত ৬৮০ হেক্টর বেশী জমিতে ধানের আবাদ হয়েছে। কৃষকরা জানান, চালের দাম যেভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, সে অনুযায়ী ধানের দাম যদি ভালো পাই, তবে আসছে মৌসুমে ধানের চাষ আরো করব। তা না হলে লোকসানের মুখে পড়ব। তাই সরকারের উচিত কৃষক যেন ন্যায্য দামে ধান বিক্রি করতে পারে, সেই ব্যবস্থা করে। এ সংক্রান্তে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি কর্মকর্তা মো. আবু সাঈদ শুভ্র বলেন, উপজেলাজুড়ে রোপা আমন ধান কাটার উৎসব শুরু হয়েছে। এতে কৃষকরা এখন তাদের নিজ নিজ জমি থেকে ধান কেটে বাড়ি নিচ্ছেন। তবে বোনা আমনের ফলন কিছুটা কম হয়েছে। এর কারণ হচ্ছে বর্ষা মৌসুমে অনেক জমিতেই পানি ছিল না, তাই ফলন কম হয়েছে। তবে রোপা আমনের ফলন খুব ভালো হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে প্রতি হেক্টক জমিতে কৃষকরা ধান পাবেন ৪ দশমিক ৫ মেট্রিক টনের বেশি।