ঢাকা ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ত্বকের যত্নে কেওড়া জল

ত্বকের যত্নে কেওড়া জল

ত্বকের যত্ন নিয়ে অনেকেই নানা চিন্তায় থাকেন। ঘরোয়া অনেক উপাদান এক্ষেত্রে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এই যেমন কেওড়ার জল। বিরিয়ানি রান্না করেছেন আর তাতে খানিকটা কেওড়ার জল দেবেন না, তা কী করে হয়। অনেকেই ভাবেন, গোলাপ জল আর কেওড়ার জল একই জিনিস। তা কিন্তু একেবারেই নয়। গোলাপ জল তৈরি করা হয় গোলাপের পাপড়ি থেকে। অন্যদিকে, কেওড়ার জল তৈরি করতে প্রয়োজন হয় কেতকি ফুলের পাপড়ি। তবে গোলাপ জলের যেমন নিজস্ব গন্ধ রয়েছে, কেওড়ার জলে কিন্তু তেমনটা নেই। বেশ কিছু মোগলাই খাবারের স্বাদ ও ঘ্রাণ বাড়াতে এটি ব্যবহার করা হয়। আবার কিছু মিষ্টিতেও কেওড়ার জল ব্যবহারের চল রয়েছে। কেবল খাবার নয়, ত্বকের যত্নেও কিন্তু কেওড়ার জল ব্যবহার করা যায়। বিশেষ এই পানিতে রয়েছে ট্যানিন, ক্যারোটিনয়েড, আইসোফ্ল্যাভোনয়েড, গ্লাইকোসাইডের মতো উপাদান। এটি র‌্যাশ, ব্রণ, সোরিয়োসিস এবং এগজিমার মতো সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়িয়ে তুলতে টোনার হিসেবে কেওড়ার জল ব্যবহার করা যায়। এর আরো কিছু ব্যবহার চলুন জানা যাক-

ওপেন পোরস দূর করে : রূপচর্চা বিশেষজ্ঞদের মতে, ওপেন পোরসের সমস্যা কমাতে ব্যবহার করতে পারেন কেওড়ার জল। ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিন। এরপর তুলোর সাহায্য মুখে কেওড়ার জল মাখুন।

বার্ধক্যের ছাপ পড়তে দেয় না : কেওড়ার জলে অ্যান্টি অক্সিড্যান্টের পরিমাণ বেশি। এটি চট করে ত্বকে বার্ধক্যের ছাপ পড়তে দেয় না। কম বয়সে মুখে বলিরেখা পড়তে দেয় না এই জল।

ত্বকে আর্দ্রতা বাড়ায় : শুষ্ক ত্বকে আর্দ্রতা বজায় রাখতে দারুণ কাজ করে কেওড়ার জল। মুখের ডেড সেল বা মৃত কোষ দূর করতে যে এক্সফোলিয়েট ব্যবহার করেন, তার সঙ্গে খানিকটা কেওড়ার জল মিশিয়ে নিন। উপকার মিলবে দ্বিগুণ।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত