ঢাকা ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

মাটির দেওয়ালচাপায় মৃত্যু

একই কবরস্থানে শায়িত হলেন মাসহ চারজন

ভাগ্যক্রমে বাঁচলেন ফকির আহমদ
একই কবরস্থানে শায়িত হলেন মাসহ চারজন

প্রতিদিনের মতো গত বৃহস্পতিবার রাতে ঘুমিয়ে পড়েন ফকির আহমদের পরিবারের পাঁচ সদস্য। নির্মম পরিহাস গভীর রাতে নির্মাণাধীন বাড়ির মাটির দেওয়ালচাপায় একই পরিবারের চারজন মারা যান।

ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান একই বাড়িতে থাকা ফকির আহমদ (৭০)।

এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

নিহতরা হলেন, ফকির আহমদের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম (৫০), তার ছেলে সাইদুল মোস্তফা (২০) ও মেয়ে নিলুফার বেগম (১৮) ও সাদিয়া বেগম (১১)। গত বৃহস্পতিবার দিনগত রাত ২টার দিকে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের মৌলভীবাজারের মরিচ্যাঘোনায় এ ঘটনা ঘটে।

হ্নীলা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মেম্বার বশির আহমদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, গতকাল শুক্রবার বাদ আসর মাটির দেওয়ালচাপায় মারা যাওয়া চারজনের পৃথক জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

পরে একই কবরস্থানে তাদের দাফন সম্পন্ন করা হয়।

জানাজায় হ্নীলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলীসহ এলাকার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

হ্নীলা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মেম্বার বশির আহমদ জানান, স্থানীয় ফকির আহমদ তার ঝুঁপড়ি ঘরে মাটির দেওয়াল তুলছিলেন। উপরে পলিথিন দিয়ে নির্মাণাধীন ঘরের মাঝখানে রাত্রিযাপন করতেন পরিবারের সবাই। চারপাশের দেওয়াল প্রায় উঠে গিয়েছিল।

টানা বৃষ্টিতে মাটির দেওয়াল ধসে ঘুমন্ত অবস্থায় তারা মাটিচাপা পড়েন। ফজরের আজানের পর বিষয়টি সবার নজরে আসলে আশপাশের লোকজন এসে মাটিচাপা থেকে তাদের উদ্ধার করেন। ঘটনাস্থলে চারজনই মারা যান।

এদিকে গতকাল কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরানের নির্দেশে টেকনাফ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) জুয়েল রানা নিহতের পরিবারের সদস্য (বেঁচে থাকা) ফকির আহমদের হাতে এক লাখ টাকার চেক তুলে দেন। হ্নীলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

মেম্বার বশির আহমদ আরো জানান, প্রশাসনের পাশাপাশি স্থানীয় চেয়ারম্যানও সহযোগিতা করেছেন।

ময়নাতদন্ত ছাড়া দাফনের ব্যবস্থা করে দেয়ায় তিনি সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

এদিকে একসঙ্গে পরিবারের সবাইকে হারিয়ে নির্বাক ফকির আহমদ।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত