মানিকগঞ্জে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে গোলাইডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। এতে করে বিপাকে পড়েছেন অসচ্ছ্বল পরিবারের পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। জানা গেছে, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষার জন্য ২ হাজার ২০ টাকা এবং বিজ্ঞান বিভাগের জন্য ২ হাজার ১৪০ টাকা ধার্য করে সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। সিংগাইর উপজেলার গোলাইডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের একাধিক পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের জন্য তাদের কাছ থেকে ৫ হাজার ৯০০ টাকা করে আদায় করা হয়েছে। এর বাইরে টেস্ট পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়া প্রতিটি সাবজেক্টের জন্য আরো ৫০০ করে নেওয়া হয়েছে।
ফরম পূরণের টাকা আদায়ের সময় অন্য কোনো ফি আদায় করা যাবে না এমন সরকারি নির্দেশনা থাকলেও তা অমান্য করে স্কুল কর্তৃপক্ষ রশিদ প্রদান ছাড়াই এসএসসির ফরম পূরণে অতিরিক্ত টাকা আদায় করে।
অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আমিনুর রহমান বলেন, এবার আমার বিদ্যালয় থেকে ৬২ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে। মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ২ হাজার ৩০০ টাকা এবং বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ২ হাজার ৪০০ টাকা নেয়া হচ্ছে। সেইসঙ্গে ৩ মাসের অতিরিক্ত ক্লাসের জন্য ২ হাজার টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। চারজন শিক্ষার্থীর কোনো টাকাই নেওয়া হয়নি। আমাদের বিদ্যালয়টি যেন পরীক্ষার কেন্দ্র হয় এজন্য আরো ১ হাজার টাকা লাগতে পারে বলে অভিভাবকদের জানানো হয়েছে। তবে অকৃতকার্য হওয়া সাবজেক্ট প্রতি ৫০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে না বলে তিনি দাবি করেন।
বিদ্যালয়ের সভাপতি শফিকুল হোসেন বিশ্বাস (সবুজ) বলেন, পরিক্ষার্থীদের মঙ্গলের জন্যই বাড়তি অর্থ নেওয়া হচ্ছে। কেন্দ্র আনার জন্য যে টাকা খরচ হয়েছে সেটা আমার পকেট থেকে করেছি।
এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা অফিসার মো. আমির হোসেন বলেন, এসএসসি পরিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ নেওয়ার কোন সুযোগ নেই। উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিচ্ছি।
