রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে বঙ্গভবনে সাক্ষাৎ করেছেন বিরোধী দলের নেতা রওশন এরশাদ। গতকাল দুপুর ১২টার পর তিনি বঙ্গভবনে প্রবেশ করেন। দুপুর পৌনে ২টায় তিনি বঙ্গভবন থেকে বের হন। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠকে রওশন এরশাদের সঙ্গে জাতীয় পার্টির এমপি মসিউর রহমান রাঙ্গা, রাহগির আল মাহী এরশাদ সাদ, অধ্যক্ষ রওশন আরা মান্নান ও বিরোধী দলের নেতার মুখপাত্র কাজী মামুনুর রশীদ উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক সূত্রে জানা যায়, ইসি ঘোষিত তপশিলকে স্বাগত জানিয়ে রওশন এরশাদ তপশিল পেছানোর আহ্বান জানিয়েছেন। পাশাপাশি সব রাজনৈতিক দলকে আলোচনার জন্য আহ্বান জানাতে রাষ্ট্রপতিকে অনুরোধ করেছেন।
বঙ্গভবন থেকে রওশন এরশাদ বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকরা তাকে প্রশ্ন করেন, তপশিল পেছানো বিষয়ে রাষ্ট্রপতির বক্তব্য কী এর জবাবে রওশন বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি বলেছেন উনি দেখবেন। তপশিল পেছানোর আহ্বান জানিয়েছি। ইনকাম ট্যাক্সের ফাইল তো লাগবে। ৩০ নভেম্বর আয়কর জমা দেওয়ার শেষ দিন। সেটা ছাড়া তো নমিনেশন দেওয়া যাবে না। সে কারণে রাষ্ট্রপতিকে বলেছি তপশিল পেছানোর জন্য।’
তিনি বলেন, ‘অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর ব্যাপারে ওরকম কিছু বলা হয়নি। বলেছি, আলাপ-আলোচনা করতে। কথা বললে অনেক সময় অনেক ভালো কিছু বের হয়, সেজন্য আলাপ-আলোচনার কথা বলেছি।’ জাপার দলের মনোনয়ন বা প্রতীক নিয়ে কোনো কথা হয়নি। বৈঠকে রওশন এরশাদ রাষ্ট্রপতিকে জানান, রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তপশিল ঘোষণা করতে হয়তো কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। তবে ঘোষিত তফসিলের সময় যথেষ্ট নয়- জানিয়ে তফসিলের সময় আরও কিছুটা বর্ধিত করা প্রয়োজন।
তিনি আরো বলেন ৩০ নভেম্বর মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু ওই সময় আয়কর রিটার্নেরও শেষ দিন। তাই মনোনয়ন দাখিলে আয়কর রিটার্নের রিপোর্ট দিতে সমস্যা হবে। এ কারণেও তপশিল পিছিয়ে দেওয়া প্রয়োজন। রাষ্ট্রপতি, আপনি রাষ্ট্রের অভিভাবক। সেই বিবেচনায়ও আপনি সব রাজনৈতিক দলকে আলোচনার জন্য আহ্বান জানাতে পারেন। আমরা একটি নির্বাচনমুখী দল। এবারও আমরা নির্বাচনে অংশ গ্রহণের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি। জাতীয় পার্টি একান্তভাবে আশা করে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ ব্যাপারে আপনার সহযোগিতা আমরা একান্তভাবে প্রত্যাশা করি।