নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আলভী আরসলানকে নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের একদল শিক্ষার্থীদের গঠিত ‘প্রলয় গ্যাং’র চার সদস্যকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। একই সাথে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাদের ‘কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না’- মর্মে সাত কার্যদিবসের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। এছাড়া, অতীতে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য এই গ্যাংয়ের ১৪ সদস্যকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
সাময়িকভাবে বহিষ্কৃতরা হলেন- শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগ এবং মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের শিক্ষার্থী তবারক মিয়া, একই হলের অর্গ্যানাইজেশন স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড লিডারশিপ বিভাগের ফয়সাল আহমেদ সাকিব, একই বিভাগের মুরসালিন ফাইয়াজ এবং অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগ এবং স্যার এএফ রহমান হলের শিক্ষার্থী জুবায়ের ইবনে হুমায়ূন। গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে শৃঙ্খলা পরিষদের সভায় বহিষ্কারের এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল সভায় সভাপতিত্ব করেন। সভায় উপস্থিত একাধিক শৃঙ্খলা পরিষদ সদস্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আলোকিত বাংলাদেশকে তথ্যগুলো নিশ্চিত করেছেন।
সভায় সিদ্ধান্ত হয়- আন্তঃহল তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রলয় গ্যাংয়ের ১৪ জন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে ৪৯ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এর আগে গত ৮ নভেম্বর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আলভী আরসলান নামের এক ছাত্রকে ৩ ঘণ্টা ধরে নির্যাতন করে প্রলয় গ্যাংয়ের একদল শিক্ষার্থী। এ ঘটনার পরের দিন রাজধানীর শাহবাগ থানায় একটি মামলা করেন ভুক্তভোগী ছাত্রের (আলভী) মা ডা. রেহেনা আক্তার। মামলায় তবারক মিয়া, মুরসালিন, ফয়সাল আহমেদ সাকিব, জুবায়ের ও জোবায়ের ইবনে হুমায়ূনসহ অজ্ঞাত আরো ৮ থেকে ১০ জনকে আসামি করা হয়। এরপর গণমাধ্যমে বিষয়টি প্রকাশিত হওয়ার পরে তা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নজরে আসে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মাকসুদুর রহমান আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, নর্থ সাউথের এক শিক্ষার্থীকে (আলভী) নির্যাতনের ঘটনায় তার মা থানায় মামলা করেন যেখানে তিনি পাঁচজনের নাম উল্লেখ করেছেন এবং তিনি বলেছেন তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে আমরা চারজনকে শনাক্ত করতে পেরেছি। তাদেরকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে এবং তাদের কেন স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না- তা জানতে সাত দিন সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে।