নয়নতারার অনেক উপকারিতা

প্রকাশ : ২১ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

গ্রামবাংলার আনাচে কানাচে থেকে শুরু করে শহুরে বাগান- সব জায়গায় আগাছার মতো একটি গাছ দেখা যায়। তাতে ফুটে থাকে ছোট্ট হালকা গোলাপি রঙা ফুল। সুন্দর এই ফুলটির নাম নয়নতারা। গোলাপি ছাড়াও সাদা, লাল বিভিন্ন রঙে এই ফুল হয়ে থাকে। সৌন্দর্য বৃদ্ধি ছাড়াও নয়নতারার অনেক উপকারিতা রয়েছে। বেশিরভাগ মানুষ যা জানে না। নয়নতারার কিছু ঔষধি গুণ সম্পর্কে চলুন জেনে নিই-

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে : ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে নয়নতারা। ৮ থেকে ১০টি নয়নতারা পাতা বেটে রস বের করে নিন। সকালে বা রাতে শুতে যাওয়ার আগে নিয়মিত এই রস পান করুন। এতে ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে থাকবে। সুস্থ থাকবে হার্ট।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ : বাংলার অতি সাধারণ ফুল নয়নতারার পাতা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে বড় ভূমিকা পালন করে। আয়ুর্বেদে বহুকাল ধরেই ডায়াবেটিস বা মধুমেহ রোগের চিকিৎসার কাজে এই গাছ ব্যবহার করা হয়। আমেরিকান ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োটেকনোলজি ইনফরমেশন (এনসিবিআই) জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, নয়নতারার পাতা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম। ইঁদুরের ওপর গবেষণা করেই এই সাফল্য পেয়েছে তারা। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে কীভাবে নয়নতারার পাতা খাবেন- প্রথমে পাতা শুকিয়ে নিন। এরপর ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে এয়ার টাইট পাত্রে রাখুন। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর এক গ্লাস পানি বা সবজির রসে এক চামচ নয়নতারার পাতার গুঁড়া মিশিয়ে পান করুন। নিয়ন্ত্রণে থাকবে ব্লাড সুগার।

কৃমি রোগ নিয়ন্ত্রণ : দুই গ্রাম কাঁচা, শুকনো হলে এক গ্রাম পরিমাণের নয়নতারা গাছের ফুল, মূল ও পাতা একসঙ্গে এক কাপ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে এই পানি ছেঁকে ফুটিয়ে অর্ধেক করে নিন। এই পানি দুই ভাগে ভাগ করে সকালে এবং রাতে ৮ থেকে ১০ দিন পান করুন। কৃমির সমস্যা চলে যাবে। তবে শিশুদের এটি দেবেন না।

ত্বকের সমস্যা ও চর্ম রোগ : নয়নতারার পাতা বেটে সেই রস দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করতে পারেন। এতে চুলকানি ও ফাঙ্গাসজনিত সমস্যা থেকে দ্রুত মুক্তি পাওয়া যায়। পাতা সেদ্ধ করা পানি ব্যবহারে ত্বক হয় উজ্জ্বল ও তরতাজা। নয়নতারার পাতার সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে বেটে ফেস প্যাক তৈরি করে মুখে লাগান। জেল্লা বাড়বে দ্রুত। এছাড়া অনেক কারণে নয়নতারার পাতা ব্যবহার করা হয়। গুঁড়া করে খেতে না চাইলে রোজ সকালে নয়নতারা পাতার চা বানিয়ে খেতে পারে। এই চা খেতে হবে খালি পেটে।