সুসংবাদ প্রতিদিন

নীলফামারীতে আগাম আলুতে কৃষকের মুখে হাসি

প্রকাশ : ২২ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  পারভেজ উজ্জ্বল, নীলফামারী

আগাম আলু ঘরে তুলতে শুরু হয়েছে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায়। মাঠ থেকে আলু তুলে নিচ্ছেন পাইকাররা। এবার দাম বেশি পাওয়ায় কৃষকও খুবই খুশি। কোনোরকম ঝামেলা ছাড়া মাঠে বসেই কৃষক আলু বিক্রি করছেন। উপজেলা কৃষি অফিস জানান, এই অঞ্চলে কৃষকরা মাঠ থেকে নতুন আলু উঠাতে শুরু করেছে। দেরিতে হলেও অনুকূল আবহাওয়া পাওয়ায় আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। এবং আলুর ভালো দাম পেয়ে কৃষক খুশি।

প্রতি বছর কিশোরগঞ্জ উপজেলার ক্ষুদ্র-প্রান্তিক কৃষকরা আগাম আমন ধান ঘরে তুলে আগাম বাজার ধরার আশায় আগেভাগে আলুর বীজ রোপণ করেন। কিন্তু হটাৎ করে বন্যা শুরু হওয়ায় বিপাকে পড়েছিল, সেটা কেটে উঠে বর্তমানে সেই খেত থেকে আলু উত্তোলন শুরু হয়েছে। কোনোরূপ মজদুর ছাড়াই কৃষকরা তাদের ক্ষেত থেকে সরাসরি পাইকারের কাছে প্রতি কেজি আলু বিক্রি করছেন ৭৫ থেকে ৮০ টাকায়। এছাড়া কয়েক দিনের মধ্যে পুরোপুরি মাঠ থেকে আলু উত্তোলন শুরু হবে। চলতি বছর ৭ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে আগাম আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এর মধ্যে ৬ হেক্টর জমির আগাম আলু উত্তোলন করা হয়েছে। নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে মাঠ থেকে আলু তুলছেন সকাল সন্ধ্যা কৃষকরা। সরেজমিন দেখা যায়, আলুর মাঠে কেউ মাটি খুঁড়ে আলু তুলছেন, আবার কেউ কুড়াচ্ছেন। কেউ আবার বস্তায় ভরতে ব্যস্ত। কোথাও আবার ক্ষেতের মাঝে ভ্যানে তুলছে, ট্রলি এবং ট্রাকেও। উপজেলার পুটিমারী ইউনিয়নের জালিয়া পাড়া গ্রামের কৃষক আলী হোসেন বলেন, ৮০ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি করেছি, যা খরচ বাদে কেজি প্রতি প্রায় ৩০ টাকা লাভ। একই এলাকার তনা মামুদ ৬০ শতক জমিতে আগাম আলু উত্তোলন করছেন। তনা মামুদ আলোকিত বাংলাদেশ কে বলেন, প্রতিবারের মতো চলতি বছরে জমিতে ৬০ থেকে ৬৫ দিনে আগাম আলু বর্তমানে উত্তোলন করছি। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপপরিচালক ড. এসএম আবু বকর সাইফুল ইসলাম বলেন, এ পর্যন্ত জেলায় ৬ হেক্টর জমির নতুন আলু বাজারে ক্রয় বিক্রয় শুরু হয়েছে। এবারও আগাম আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। বেশি দাম পেয়ে কৃষক খুশি।