ঢাকার আশুলিয়ায় দরুল হুদা (৪০) নামের এক ব্যক্তির হাত-পা বাঁধা ও মুখে স্কসটেপ দিয়ে আটকানো অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। গত সোমবার রাতে আশুলিয়ার পলাশবাড়ী বাতানটেক এলাকায় তার ভাড়াবাসার কক্ষ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত দরুল হুদা চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ থানধীন উত্তর ফতেহপুর গ্রামের মৃত. জহাব আলীর ছেলে। তিনি স্ত্রী মেহেরুন্নেসাকে নিয়ে আশুলিয়ার পলাশবাড়ী বাতানটেক এলাকার ইকবাল কবির আলমের ভাড়া বাসায় থেকে একটি কীটনাশক কারখানার প্যাকিংম্যান হিসেবে কাজ করতেন। তাঁর স্ত্রী স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। স্থানীয়রা জানান, নিহতের স্ত্রী বেলা আড়াইটার পর কারখানা থেকে এসে বাসায় ঢুকেই তার স্বামীর মরদেহ ঘরের মেঝেতে দেখতে পান। এ সময় তিনি চিৎকার করেন এবং আশপাশের লোকদের খবর দেন। পরে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে আশুলিয়া থানা পুলিশ, র্যাব ও পিবিআই ঘটনাস্থলে আসেন। আশুলিয়া থানার এসআই আব্দুল মালেক বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। ভাড়া বাসায় কী কারণে যুবক হত্যাকাণ্ডের শিকার হলেন, সব বিষয় মাথায় রেখে তদন্ত করছি। পিবিআই ক্রাইম সিন আসলে সুরতহাল শুরু করা হবে।