সরবরাহকারী ব্র্যাক কর্মী অস্ত্রসহ আটক

মহেশখালী থেকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যাচ্ছে অস্ত্রের চালান

প্রকাশ : ২২ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার

কক্সবাজারের মহেশখালী থেকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যাচ্ছে অস্ত্রের চালান। গত সোমবার রাতে কক্সবাজার শহরের বাঁকখালী নদীস্থ ৬ নম্বর জেটি ঘাটে অভিযান চালিয়ে উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাচারকালে এনজিও সংস্থা ব্র্যাকের মাঠকর্মী হিসেবে কর্মরত মো. আরিফ উল্লাহকে (২৫) দেশীয় তৈরি দুটি এলজি বন্দুকসহ আটক করেছে পুলিশ কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশ।

গতকাল কক্সবাজার সদর মডেল থানায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. মিজানুর রহমান।

পুলিশ জানিয়েছে, মহেশখালী থেকে এসব অস্ত্র সংগ্রহ করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল রোহিঙ্গা ক্যাম্পে। এনজিও কর্মী হলেও দীর্ঘদিন ধরেই রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসীদের অস্ত্র সরবরাহ করে আসছিল এই যুবক।

আটক মো. আরিফ উল্লাহ মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের পানিরছড়া এলাকার আবুল কালামের ছেলে। গত দুই বছর ধরেই উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এনজিও ব্র্যাকের মাঠকর্মী হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বলেন, এনজিও কর্মী হলেও এই যুবক দীর্ঘদিন ধরে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের হাতে অস্ত্র পৌঁছে দিয়ে আসছিল। এমন তথ্যের ভিত্তিতে এই যুবককে আটকের চেষ্টা করলেও পুলিশ অনেকবার ব্যর্থ হয়। সর্বশেষ সোমবার রাতে ২টি এলজি বন্দুকসহ আটক করা সম্ভব হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্ত্র সরবরাহের বিষয়টি স্বীকার করেছে সে। বলেছে, মহেশখালী থেকে ক্রয় করে বেশি দামে রোহিঙ্গাদের অস্ত্র বিক্রি করে আসছিল। এনজিও কর্মী হওয়ার সুবাদে তাকে কেউ সন্দেহ না করায় এমন কাজ করতে সক্ষম হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার সদর মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কাইছার হামিদ, পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) এসএম শাকিল হাসান, পুলিশ পরিদর্শক (গোয়েন্দা) দুর্যয় বিশ্বাসসহ অনেকেই।

গতকাল সন্ধ্যায় মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, এব্যাপারে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আটক যুবকের ১০ রিমান্ড চেয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

এইপ্রসঙ্গে গতকাল সন্ধ্যায় মহেশখালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকান্ত চক্রবর্তীর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে মহেশখালীতে অস্ত্র তৈরি হচ্ছে এমন প্রশ্নটি তিনি এডিয়ে যান। তবে তিনি যোগদানের পর থেকে দেশীয় তৈরি অস্ত্রসহ ছয়জনকে আটক করা হয়েছে বলে দাবি করেন।

প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেও রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাচারকালে উখিয়া থানা পুলিশ দুই রোহিঙ্গাসহ অস্ত্র উদ্ধার করেন।