অগ্নিসন্ত্রাস, মানুষের ক্ষতি করা, মানুষের জানমালের ক্ষতি করা। সেটা কখনোই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অংশ হতে পারে না। নির্বাচনে অংশগ্রহণের মাধ্যমেই সরকার পরিবর্তন হলে গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থা তৈরি হয় এবং জনগণের মতামতের প্রতিফলন ঘটে। গতকাল সকাল সাড়ে ১১টায় বঙ্গবন্ধু চত্বরে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী চলমান নৈরাজ্য ও ধ্বংসাত্মক কার্যক্রমের প্রতিবাদে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির আয়োজিত এক মানববন্ধনে সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক সিরাজুদ্দৌলা একথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, ‘গণতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থায় বা আধুনিক সমাজব্যবস্থায় সরকার পরিবর্তনের কিছু নিয়ম আছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার নিয়ে কিছু লিমিটেশন থাকলেও জনগণের মতামতই আসলে রাষ্ট্র কীভাবে পরিচালনা হবে তা বলে দেয়।’
মানববন্ধনে সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুল হক বলেন, ‘আমরা মনে করি, দেশে শক্তিশালীবিরোধী দল থাকবে। রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে বিরোধীদল দরকার। যে দলই হোক না কেন, তাদের আন্দোলন কর্মসূচির জন্য বৈধপন্থা অবলম্বন করতে হবে। যাতে দেশ ও জনগণের ক্ষতি না হয়। কিন্তু বর্তমানে আমরা দেখতে পাচ্ছি গুপ্ত হামলার মাধ্যমে, রাস্তার পাশে রাখা গাড়ি, গ্যারেজের ভেতরে গিয়ে গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ঘটানো হচ্ছে। এসব নৈরাজ্য ও ধ্বংস কখনোই আমাদের কাম্য নয়।
তাই আজকের মানববন্ধনে শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে এসব ধ্বংসাত্মক কাজের তীব্র নিন্দা জানাই এবং এ সব ধ্বংসাত্মক কাজ থেকে বিরোধীদলকে বিরত থাকার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।’
শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী বলেন, ‘সরকার পরিবর্তনের একমাত্র পন্থা নির্বাচন। কিন্তু একটি দল হরতাল অবরোধের নামে দেশের ভিতর ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে। এতে করে দেশের মানুষ ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। তাই আমরা তাদের আহ্বান করছি এরকম ধ্বংসাত্মক কাজ বন্ধ করে স্বতঃস্ফূর্তভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে জনগণকে গণতান্ত্রিক পন্থায় নেতৃত্ব প্রদান করতে সহায়তা করুন।’
এ সময় মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী, সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলাউদ্দিন, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. হেলাল উদ্দিন নিজামী, যুগ্ম সম্পাদক অধ্যাপক ড. আদনান মান্নান ও বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ।