পিরোজপুরের কাউখালীতে তেলবাহী ট্যাঙ্কারের ধাক্কায় এমভি স্কাই নামে একটি ১ হাজার ৪০০ টন ডালবোঝাই কোস্টারের তলা ফেটে গেছে। গত বুধবার রাতে গাবখান চ্যানেলে এ ঘটনা ঘটে। গত ১৯ নভেম্বর চট্টগ্রাম থেকে যশোর নোয়াপাড়ায় মসুরির ডাল নিয়ে যাচ্ছিল এ কোস্টারটি। দুর্ঘটনার শিকার এমবি স্কাই জাহাজের মাস্টার আব্দুল হান্নান জানান, কুমিল্লার মালিকানাধীন জাহাজটিতে চট্টগ্রাম থেকে নাবিল গ্রুপের আনুমানিক ১ হাজার ৪০০ টন মসুর ডাল নিয়ে গত বুধবার রাত সাড়ে ১২টার পর ঝালকাঠির গাবখান চ্যানেলের শেখেরহাট অতিক্রম করে পিরোজপুরের কাউখালীর দিকে যাওয়ার সময় বরিশালগামী তেলবাহী ট্যাঙ্কার জাহাজ রুপসা-১ দুর্ঘটনাস্থল অতিক্রম করে। এমবি স্কাই জাহাজের সাথে রূপসা-১ এর মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে স্কাই জাহাজের বিভিন্ন অংশ ভেঙে-মুচড়ে জাহাজের নিচ ফেটে যায়। ফলে জাহাজের পানি প্রবেশ করে জাহাজ ডুবে যাওয়ার অবস্থা সৃষ্টি হয়। জাহাজটিকে রক্ষার জন্য দ্রুত কাউখালীর সন্ধ্যা নদীর থানা-সংলগ্ন নদীর চরে আটকে দেওয়া হয় বলে দাবি করেন মাস্টার। সকালে নদীতে জোয়ারের পানি বাড়লে জাহাজটি আস্তে আস্তে ডুবে যাওয়া শুরু করে এবং সামনের অংশ ডুবে যায়। স্থানীয়রা বিষয়টি দেখতে পেয়ে প্রশাসনকে জানায়। এ সময় কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্বজল মোল্লার নেতৃত্বে কাউখালী ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম, থানা অফিসার ইনচার্জ মো. জাকারিয়া ও নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ রুহুল আমিনের নেতৃত্বে পুলিশের দুইটি গ্রুপ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। জাহাজটি রক্ষার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা চালায় প্রশাসন। সংবাদ পেয়ে পিরোজপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে জাহাজের মালিক এবং জাহাজে থাকা মালের মালিক নাভিল গ্রুপের সাথে কথা বলেন। জেলা প্রশাসকের নির্দেশে এ সময় আংশিক ডুবে যাওয়া জাহাজের দুই পাশে অন্য দুটি জাহাজ আটকে দিয়ে সাময়িকভাবে জাহাজটি গভীর পানিতে ডুবে যাওয়া থেকে রক্ষা করার চেষ্টা করেন। বর্তমানে ওই জাহাজের মাল অন্য জাহাজে উঠানোর চেষ্টা চলছে। এছাড়া পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেন। স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় ডাল উদ্ধারের জন্য কাজ শুরু হয়েছে।