যুদ্ধবিরতি কার্যকরের পর গাজায় মানবিক সহায়তা নিয়ে ট্রাক প্রবেশ করতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন রাফা ক্রসিংয়ের কর্মকর্তারা। বলা হয়েছে, মিশর থেকে রাফা ক্রসিং দিয়ে গাজায় মানবিক সহায়তা নিয়ে বেশ কিছু ট্রাক প্রবেশ করছে। রাফা ক্রসিং প্রশাসনের মুখপাত্রের একটি বিবৃতিতেও গাজা উপত্যকায় সাহায্য ও জ্বালানি ট্রাকের প্রবাহের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। মুখপাত্র জানিয়েছেন, গতকাল ২৩০টি ট্রাক গাজায় প্রবেশ করার কথা রয়েছে। গতকাল থেকে গাজায় চারদিনের যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। বাংলাদেশ সময় বেলা ১১টার দিকে দুই পক্ষের মধ্যে এই চুক্তি কার্যকর হয়। এতে মধ্যস্থতা করে কাতার। এই যুদ্ধবিরতিতে হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে কিছু বন্দিবিনিময়ের কথা রয়েছে।
যুদ্ধবিরতিকে সামনে রেখে গাজায় রাতভর বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। পাওয়া গেছে হতাহতের খবরও। তাছাড়া যুদ্ধবিরতি শেষে আবারও গাজায় হামলা চালানো শুরু হবে বলে জানিয়েছে তেলআবিব। ইসরাইলি হামলায় হামাসের নৌ কমান্ডার নিহত : চার দিনের যুদ্ধবিরতির কয়েক ঘণ্টা আগে ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর অভিযানে নিহত হয়েছেন হামাসের নৌবাহিনীর জ্যেষ্ঠ কমান্ডার ওমর আবু জালাল। গত বৃহস্পতিবার রাতে গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসে তিনি নিহত হয়েছেন বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। বিবৃতিতে আইডিএফ জানিয়েছে, নিহত কমান্ডার ওমর আবু জালাল গত ৭ অক্টোবরের হামলার একজন পরিকল্পনাকারী ও নির্দেশদাতা ছিলেন এবং তাকে লক্ষ্য করেই বৃহস্পতিবারের অভিযান পরিচালনা করা হয়েছিল। ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাস এখনও এ প্রসঙ্গে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
গত ৭ অক্টোবর ভোরে ইসরাইলে অতর্কিত হামলা চালায় গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা। উপত্যকার উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্ত বেড়া ভেঙে ইসরাইলে প্রবেশ করে নির্বিচারে সামরিক-বেসামরিক লোকজনকে হত্যা করে তারা। সেই সঙ্গে জিম্মি হিসেবে গাজায় ধরে নিয়ে যায় ২৪২ জনকে। হামাসের হামলার জবাবে ওই দিন ৭ অক্টোবর থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরাইলি বিমান বাহিনী। ১৬ অক্টোবর থেকে সেই অভিযানে যোগ দেয় স্থল বাহিনীও। ইসরাইলি বাহিনীর অভিযানে গাজায় নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৪ হাজার। আর গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ইসরাইলে নিহত হয়েছিলেন ১ হাজার ২০০ জন । সূত্র বিবিসির।