স্মার্টওয়াচকে বলা হচ্ছে স্মার্টফোনের বিকল্প। কারণ স্মার্টফোনের প্রায় সব কাজই করা যায় স্মার্টওয়াচে। অনেকেই স্মার্টওয়াচে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন। তবে যারা জানেন না তাদের বলছি অনেক স্মার্টওয়াচেই আপনি এই সুবিধা পাবেন। এই মুহূর্তে যদি স্যামসাং গ্যালাক্সি স্মার্টওয়াচ থাকে, তাহলে অবশ্যই হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করতে পারবেন। অর্থাৎ যেসব স্মার্টওয়াচ ওয়্যার ওএস প্ল্যাটফর্মে চলে, সেগুলো থেকেও হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করা যায়। এবার হোয়াটসঅ্যাপের জনপ্রিয় ৭ ফিচার যুক্ত হচ্ছে স্মার্টওয়াচে। জেনে নিন সেগুলো কী কী- ভয়েস মেসেজিং: যে কয়েকটি হোয়াটসঅ্যাপ ফিচার আপনি স্মার্টওয়াচ থেকে ব্যবহার করতে পারবেন, তার মধ্যে অন্যতম হলো ভয়েস মেসেজিং। স্মার্টওয়াচ থেকেই আপনি হোয়াটসঅ্যাপে ভয়েস রেকর্ড, তা শেয়ার এবং Wear OS -এর দ্বারা তা শুনতেও পারবেন।
প্রিসেট রিপ্লাই : স্মার্টওয়াচে টাইপ করাটা অনেকের ক্ষেত্রে সমস্যার হতে পারে। তাই ‘ওকে’, ‘ফাইন’ এবং ‘থ্যাংকস’-এর মতো কিছু প্রিসেট রিপ্লাইও থাকছে। এগুলোর সাহায্যে স্মার্টওয়াচ থেকে অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে রিপ্লাই করতে পারবেন।
মেসেজের রিপ্লাই: স্মার্টওয়াচের হোয়াটসঅ্যাপ থেকে ব্যবহারকারীরা টেক্সট মেসেজ পেতে পারেন এবং তা পাঠাতেও পারেন। ওয়্যার ওএস প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমেই এগুলোর সবই সম্ভব হবে।
টেক্সট নোটিফিকেশ: এর আগের ফটো টেক্সট নোটিফিকেশনের মতোই হোয়াটসঅ্যাপের ওয়্যার ওএস ভার্সনেও চ্যাটের মধ্যে ইমেজ প্রিভিউ দেখা যায়। শুধু তাই নয়, নোটিফিকেশন থেকেও আপনি ইমেজ প্রিভিউ দেখতে পাবেন। অফলাইনে থাকলে মেসেজ পাবেন: যেসব স্মার্টওয়াচে সেলুলার কানেক্টিভিটি রয়েছে, সেখানে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই হোয়াটসঅ্যাপ অপারেট করা যেতে পারে। স্মার্টফোন অফলাইনে থাকলে বা টার্ন অফ করা থাকলেও আপনি মেসেজ পাবেন, পাঠাতেও পারবেন।
নোটিফিকেশন মিউট: আবার ব্যবহারকারীরা চাইলে নির্দিষ্ট কিছু চ্যাট বা গ্রুপ চ্যাটের নোটিফিকেশনগুলো মিউট করে রাখতে পারেন। তার মধ্যে দিয়ে নোটিফিকেশনগুলো কন্ট্রোলও করা যেতে পারে।
ইমোজি রিঅ্যাকশন: ওয়্যার ওএস ভার্সনে সম্প্রতি ইমোজি রিঅ্যাকশন ফিচারটিও এসে গিয়েছে। ইমোজির জন্য কাস্টমাইজেশন অপশনও রয়েছে। অর্থাৎ মোবাইলের মতোই আপনি স্মার্টওয়াচ থেকে নিজের পছন্দসই ইমোজিও পাঠাতে পারবেন।