সাগরপথে মানবপাচার
রোহিঙ্গাসহ উদ্ধার ৫৮ পাচার চক্রের হোতা ইয়াছিনসহ গ্রেপ্তার চার
প্রকাশ : ২৬ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার
সাগরপথে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া মানবপাচার চক্রের শীর্ষ এক সদস্যসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের দেয়া তথ্য মতে মালয়েশিয়াগামী ৫৮ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে, যার মধ্যে ৫৭ জন রোহিঙ্গা। গত শুক্রবার দিবাগত রাতে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের হাতিয়ারঘোনা-সংলগ্ন মেরিন ড্রাইভের পূর্ব পাশে এ অভিযান চালানো হয় বলে জানিয়েছেন টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গনি।
গ্রেপ্তার মানব পাচারকারী চক্রের চার সদস্য হলেন টেকনাফ সদর ইউনিয়নের মহেশখালিয়াপাড়ার আমজল হোসেনের ছেলে মো. ইয়াছিন (২৩), দরগারছড়া এলাকার জলু সওদাগরের ছেলে মো. জুবায়ের (৩৫), উত্তর লম্বরী এলাকার বাদশা মিয়ার ছেলে নাজির হোছন (৬১), নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপুর এলাকার তাজুল ইসলামের ছেলে রামিমুল ইসলাম রাদীদ (৩১)।
উদ্ধার হওয়া মালয়েশিয়াগামীদের জন্য একজন স্থানীয় বাংলাদেশি, অপর ৫৭ জন রোহিঙ্গা। যেখানে ৯ জন পুরুষ, ১৬ জন নারী ও ৩৩ জন শিশু রয়েছে।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গনি জানিয়েছেন, মধ্যরাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে হাতিয়ারঘোনা সংলগ্ন মেরিন ড্রাইভের পূর্ব পাশ থেকে মানব পাচারকারী চক্রের হোতা ইয়াছিন বাহিনীর প্রধান ইয়াছিনসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের দেয়া তথ্য মতে, পাচারের জন্য জড়ো করা ৫৮ জনকে উদ্ধার করা হয়।
তিনি জানান, উদ্ধার হওয়াদের আর্থ-সামাজিক অনগ্রসরতা ও পরিবেশগত অসহায়ত্বকে পুঁজি করে উন্নত জীবনযাপন, অধিক বেতনে চাকরি ও অবিবাহিত নারীদের বিবাহের মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণা-পূর্বক ছল-চাতুরির আশ্রয় নিয়ে তিন থেকে চার দিন ধরে জড়ো করা হয়। যেখানে যৌন নিপীড়নসহ নানা নির্যাতনও চালানো হয়েছে। এরই মধ্যে এ মানবপাচারে জড়িত অনেকের নামও পাওয়া গেছে। এদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
ওসি আরো বলেন, গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া ভুক্তভোগীদের বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া শেষে সংশ্লিষ্ট ক্যাম্পে হস্তান্তর করা হবে।
উদ্ধার ভিকটিম উখিয়ার থাইংখালি ক্যাম্প-১৩ সৈয়দ বলেন, মানব পাচারকারী দালালরা মালয়েশিয়ায় নেওয়ার কথা বলে ক্যাম্প থেকে নিয়ে এসেছে। পরে সদর ইউনিয়নের হাতিয়ারঘোনা এলাকায় দালালদের বসতঘরে রাখেন। পাহাড়ি এলাকার লাগোয়া বসতঘরে গত এক সপ্তাহ ধরে আমাদের আটক রেখেছে। তারা আমাদের কাছ থেকে টাকা-পয়সা হাতিয়ে নিয়েছেন।