চট্টগ্রামে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (কেজিডিসিএল) আরো ১ লাখ গ্রাহক পাচ্ছেন প্রিপেইড মিটার। এসব মিটার বসানোর জন্য গত ১৯ সেপ্টেম্বর জাপানি প্রতিষ্ঠান টয়োকিকি কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে মিটার স্থাপনের কাজ শুরু হবে। জুনের মধ্যে এসব মিটার নগরী ও জেলায় বসানোর টার্গেট রয়েছে। গ্রাহক যত গ্যাস ব্যবহার করবেন তত বিল দিতে হবে। এর সঙ্গে ১০০ টাকা মিটার চার্জ দিতে হবে। এর বাইরে ডিমান্ড চার্জ বা ভ্যাট বাবদ কোনো অর্থ গুনতে হবে না গ্রাহকদের। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কয়েক দফায় গ্যাসের প্রিপেইড মিটার বসানোর ফলে চট্টগ্রামের গ্রাহকরা মোট মিটার পাচ্ছেন ২ লাখের কাছাকাছি। আরো প্রায় ৪ লাখ গ্রাহক প্রিপেইড মিটারের আওতার বাইরে থেকে যাচ্ছে। তারাও পর্যায়ক্রমে প্রিপেইড মিটারের আওতায় আসবেন বলে জানা গেছে।
কেজিডিসিএলের এক কর্মকর্তা জানান, চট্টগ্রামে আবাসিকে ৬ লাখ গ্যাসের চুলা আছে। প্রথম ধাপে ৬০ হাজার গ্রাহককে প্রিপেইড মিটারের আওতায় আনা হয়। এতে দেখা গেল অনেক গ্রাহকের বিল কমে এসেছে। এতে সাশ্রয় হয় গ্যাস। প্রিপেইড মিটারের কারণে গ্যাস অপচয় কমেছে। এরই ধারাবাহিকতায় কেজিডিসিএল দ্বিতীয় ধাপে আরো ১ লাখ মিটার বসানোর প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এ প্রকল্পে ব্যয় ধরা হচ্ছে ২৯১ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। আগামী ২৯ নভেম্বর প্রিপেইড মিটারের প্রথম চালান দেশে পৌঁছাবে। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে মিটার লাগানোর কাজ শুরু হবে। পর্যায়ক্রমে তা আগামী বছরের জুন পর্যন্ত চলবে।
কেজিডিসিএল সূত্র জানায়, কর্ণফুলী গ্যাসের মোট ৬ লাখ আবাসিক গ্রাহক রয়েছেন। তাদের মধ্যে ন্যাচরাল গ্যাস ইফিসিয়েন্সি প্রজেক্টের মাধ্যমে প্রথম দফায় ৬০ হাজার গ্রাহককে প্রিপেইড মিটারের আওতায় আনে কেজিডিসিএল। জাইকার অর্থায়নে ২০১৫ সালে হাতে নেওয়া ২৪৭ কোটি টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্পের কাজ শেষ হয় ২০১৯ সালে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে গ্যাস সাশ্রয়সহ গ্রাহক ভোগান্তি কমে আসায় প্রিপেইড মিটার স্থাপনে নতুন আরেকটি প্রকল্প হাতে নেয় কেজিডিসিএল কর্তৃপক্ষ।
‘আবাসিক গ্রাহকদের জন্য প্রিপেইড মিটার স্থাপন প্রকল্প’ শিরোনামে ২০২১-এর ফেব্রুয়ারিতে ১ লাখ মিটার স্থাপনের জন্য দ্বিতীয় ধাপে প্রকল্প হাতে নেয় কেজিডিসিএল। প্রাথমিক পর্যায়ে এ প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয় ২৪১ কোটি ৬১ লাখ টাকা। প্রকল্পটির বাস্তবায়নের মেয়াদ ধরা হয়েছিল ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত। সংস্থাটির নিজস্ব অর্থায়নের প্রকল্পটি মূল উদ্দেশ্য প্রাকৃতিক গ্যাসের অপচয় রোধ, সাশ্রয়ী ব্যবহার নিশ্চিত ও গ্যাসের ব্যবহার হ্রাস করা। তবে নানা জটিলতার কারণে পিছিয়ে যায় এ প্রকল্পের কাজ। এরপর প্রকল্পে ব্যয় বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ২৯১ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। পাশাপাশি সময় বেড়ে হয়েছে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত।
কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (কেজিডিসিএল) কর্মকর্তারা জানান, চট্টগ্রামে প্রিপেইড মিটার বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। গ্রাহক বান্ধব এসব মিটারের চাহিদাও বেশি। চট্টগ্রামে আরো ১ লাখ প্রিপেইড মিটার বসছে। এসব মিটার বসানোর জন্য গত ১৯ সেপ্টেম্বর জাপানি প্রতিষ্ঠান টয়োকিকি কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। ২০২৫ সালের জুনের মধ্যে এসব মিটার নগরী ও জেলায় বসানো হবে। গ্রাহক যত গ্যাস ব্যবহার করবেন, তত বিল দিতে হবে। এর সঙ্গে ১০০ টাকা মিটার চার্জ দিতে হবে। এর বাইরে ডিমান্ড চার্জ বা ভ্যাট বাবদ কোনো অর্থ গুনতে হবে না গ্রাহককে।
জানা গেছে, চট্টগ্রামে আবাসিকে ৬ লাখ গ্যাসের চুলা আছে। প্রথম ধাপে ৬০ হাজার গ্রাহককে প্রিপেইড মিটারের আওতায় আনা হয়। এতে দেখা যায় অনেক গ্রাহকের বিল কমে এসেছে। এতে সাশ্রয় হয় গ্যাস। প্রিপেইড মিটারের কারণে গ্যাস অপচয় কমেছে। এরই ধারাবাহিকতায় কেজিডিসিএল দ্বিতীয় ধাপে আরো ১ লাখ মিটার বসানোর প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এ প্রকল্পে ব্যয় ধরা হচ্ছে ২৯১ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। আগামী ২৯ নভেম্বর প্রিপেইড মিটারের প্রথম চালান দেশে পৌঁছাবে। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে মিটার লাগানোর কাজ শুরু হবে। প্রিপেইড মিটারে প্রতি চুলায় গ্রাহকের সাশ্রয় হবে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা। মোবাইল ফোনে টাকা রিচার্জের মতোই গ্রাহক মিটারে প্রয়োজনীয় গ্যাসের টাকা রিচার্জ করতে পারবেন।
কেজিডিসিএল সূত্র জানায়, নতুন এই প্রকল্পের মাধ্যমে নগর ও জেলার ১ লাখ গ্রাহককে প্রিপেইড মিটারের আওতায় আনা হচ্ছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে নগরীর সদরঘাট, বায়েজিদ, চান্দগাঁও, পাঁচলাইশ, চকবাজার, হালিশহর, পাহাড়তলী, খুলশী, ইপিজেড, বাকলিয়া, কোতোয়ালি, ডবলমুরিং, বন্দর, পতেঙ্গা, আকবরশাহ এবং জেলার হাটহাজারী, সীতাকুণ্ড, মীরসরাই, কর্ণফুলী, আনোয়ারা, পটিয়া, বোয়ালখালী এবং চন্দনাইশ উপজেলার কেজিডিসিএল গ্রাহকরা প্রিপেইড মিটার পাবেন।