রাজবাড়ী দিয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা হয়ে পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে ঢাকায় চলাচল করবে আরো দুটি ট্রেন। আগামী পহেলা ডিসেম্বর রাজশাহী থেকে আন্তঃনগর মধুমতি এক্সপ্রেস ও খুলনা থেকে নকশীকাঁথা মেইল ট্রেন পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে চলাচল করবে। এ নিয়ে পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে ট্রেন চলাচলের সংখ্যা দাঁড়াবে মোট চারটি।
এর আগে পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে ঢাকায় চলাচল করত সুন্দরবন এক্সপ্রেস ও বেনাপোল এক্সপ্রেস নামের দুটি ট্রেন। এবার নতুন করে চালু হতে যাচ্ছে আরো দুটি ট্রেন। এই এলাকার লোকজন ও দক্ষিণ অঞ্চলের লোকজনের যাতায়াতে খুবই সুবিধা হবে। খুলনা থেকে রাজবাড়ী গোয়ালন্দ ঘাট পর্যন্ত চলাচল করত নকশীকাঁথা এক্সপ্রেস ট্রেনটি। ওই ট্রেনটি গতিপথ পরিবর্তন করে পহেলা ডিসেম্বর থেকে খুলনা থেকে পদ্মা সেতুর উপর দিয়ে ঢাকা পর্যন্ত এবং ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে খুলনা পর্যন্ত চলাচল করবে। রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মধুমতি এক্সপ্রেস ট্রেনটির সাপ্তাহিক ছুটির দিন বৃহস্পতিবার অপরিবর্তিত থাকবে। মধুমতী এক্সপ্রেস পদ্মা সেতু হয়ে চলাচলকারী তৃতীয় আন্তঃনগর ট্রেন হতে যাচ্ছে। এদিন পদ্মা সেতু দিয়ে চলবে খুলনা-ঢাকা রুটে প্রথম কমিউটার ট্রেনও।
যার টিকিট যাত্রা শুরুর সময় রেলস্টেশনের কাউন্টার থেকে পাওয়া যাবে। ৮টি কোচের মধুমতী এক্সপ্রেসে ৫৫৮টি যাত্রীদের আসন থাকবে। এর মধ্যে প্রথম শ্রেণির একটি কোচে আসন সংখ্যা ২৪টি, শোভন চেয়ারে ৪৪ এবং শোভন শ্রেণিতে ৪৯০টি আসন থাকবে। এছাড়া ঢাকা থেকে রাজশাহী পর্যন্ত শোভন কোচে ভাড়া ৩৯৫ টাকা, শোভন চেয়ারে ভাড়া ৪৭০ টাকা আর প্রথম শ্রেণিতে ভাড়া ৭১৯ টাকা। রাজবাড়ী থেকে ঢাকা শোভন শ্রেণিতে ভাড়া ২৪৫ টাকা, শোভন চেয়ারে ভাড়া ২৯৫ টাকা ও প্রথম শ্রেণিতে ভাড়া ৪৪৯ টাকা। সঙ্গে ভ্যাট প্রযোজ্য।
আগামী পহেলা ডিসেম্বর থেকে দুটি ট্রেন চলাচলের সময়সূচিতে দেখা যায়, আন্তঃনগর মধুমতি এক্সপ্রেস ট্রেনটি রাজশাহী থেকে সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে ছেড়ে পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা পৌঁছাবে দুপুর ২টায়। আবার ওই ট্রেনটি ঢাকা থেকে দুপুর ২টা ৪০ মিনিটে ছেড়ে পদ্মা সেতু হয়ে রাজশাহী পৌঁছাবে রাত ১০টা ৪০ মিনিটে। মধুমতি এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঈশ্বরদী জংশন, পাকশী, ভেড়ামারা, মিরপুর, পোড়াদহ, কুষ্টিয়া কোর্ট, কুমারখালী, খোকসা, পাংশা, কালুখালী জংশন, রাজবাড়ী, পাঁচুরিয়া জংশন, আমিরাবাদ, ফরিদপুর, তালমা, পুকুরিয়া, ভাঙ্গা, শিবচর, পদ্মা জাজিরা ও মাওয়া স্টেশনে যাত্রা বিরতি করবে।
অপর নকশীকাঁথা মেইল ট্রেনটি খুলনা থেকে রাত ১১টা ৪০ মিনিটে ছেড়ে পরদিন সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে ঢাকা পৌঁছাবে। ঢাকা থেকে ১১টা ৪০ মিনিটে ছেড়ে খুলনা পৌঁছাবে রাত ১০টা ৪০ মিনিটে।
ট্রেনটির যাত্রাবিরতি থাকবে দৌলতপুর, নওয়াপাড়া, যশোর, মোবারকগঞ্জ, কোর্ট চাঁদপুর, সাফদারপুর, আনসারবাড়িয়া, উথলী, দর্শনা, চুয়াডাঙ্গা, মুন্সীগঞ্জ, আলমডাঙ্গা, হালসা, পোড়াদহ, কুষ্টিয়া কোর্ট, কুষ্টিয়া, কুমারখালী, খোকসা, মাছপাড়া, পাংশা, কালুখালী, বেলগাছি, খানখানাপুর, আমিরাবাদ, ফরিদপুর, বাখুণ্ডা, তালমা, পুকুরিয়া, ভাঙ্গা, ভাঙ্গা জংশন, শিবচর, পদ্মা, মাওয়া, শ্রীনগর, নিমতলী ও গেন্ডারিয়ায়।