সুসংবাদ প্রতিদিন

পাল্টে যাচ্ছে কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলের মানুষের জীবিকা

প্রকাশ : ২৭ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

১৬ নদ-নদীবেষ্টিত কুড়িগ্রাম জেলায় প্রতি বছর বন্যা আর ভাঙনের কবলে পড়ে অসংখ্য পরিবার গৃহহীন হয়। বিনষ্ট হয় চরের মানুষের কৃষি ফসল। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় কৃষিনির্ভর পরিবারগুলো, যার কারণে তারা এখন উন্নত পদ্ধতিতে করছেন চাষাবাদ। জেলায় বিভিন্ন চরাঞ্চলে সমন্বিতভাবে শাক সবজি চাষে পাল্টে যাচ্ছে নদ-নদী তীরবর্তী চরের মানুষের জীবন-জীবিকা। বন্যাকালীন সময়েও যাতে সবজি উৎপাদন অব্যাহত থাকে এজন্য কমিউনিটিভিত্তিক সবজি ও বস্তায় আদা চাষে উদ্বুদ্ধ করছে কৃষি বিভাগ। জানা গেছে, জেলায় শাকসবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ হাজার হেক্টর জমিতে। এখন পর্যন্ত অর্জিত হয়েছে প্রায় ৪ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে। এখনো শাকসবজি চাষ চলমান রয়েছে। কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিপ্লব কুমার মোহন্ত জানান, চরাঞ্চলের মানুষের সমন্বিত কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধিতে কৃষি বিভাগের প্রশিক্ষণসহ সব ধরনের সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে। কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার তেথরাই ইউনিয়নের গোড়াই পিয়ার কুমার পাড়া এলাকার সাফিউল ইসলাম একজন সমন্বিত শাক-সবজি চাষি। তিনি মাত্র ৪ শতক জমিতে সমন্বিতভাবে শাক চাষ করে লাভবান হয়েছেন। সামিউল ইসলাম বলেন, আমার ৪ শতক জমিতে গাছ লাগিয়েছি পাশাপাশি লালশাক, কলমিশাক, মিষ্টি কুমড়া ও রসুন রোপণ করেছি। এখানে লালশাক রোপণে আমার মাত্র ১৫০ টাকা খরচ হয়েছে। এ পর্যন্ত ১ হাজার টাকার শাক বিক্রি করেছি। আরো দেড় হাজার টাকার শাক বিক্রি করব বলে আশা করছি। এছাড়া তো অন্য শাকও আছে। ঠিকমতো যদি শাকসবজি চাষ করা যায়, তাহলে অনেক লাভ। একই এলাকার রহিমা বেগম বলেন, আমি আমার ৮ শতক জমিতে বিভিন্ন প্রকার শাক আবাদ করেছি। ফলন অনেক ভালো হয়েছে। আশা করছি ভালোই লাভবান হতে পারব।