অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ

ঠিকাদার কামালের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

প্রকাশ : ২৭ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  কুমিল্লা প্রতিনিধি

প্রায় ৯ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় ঠিকাদার মো. কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের কুমিল্লা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে দুদকের সহকারী পরিচালক পাপন কুমার সাহা বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। গতকাল দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় কুমিল্লার উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আতিকুর রহমান সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন। কামাল হোসেন জেলার মনোহরগঞ্জ উপজেলার লক্ষ্মণপুর গ্রামের নূর মোহাম্মদের ছেলে এবং জেলার মনোহরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামি মো. কামাল হোসেন ২০০৭ সালে ঠিকাদারি ব্যবসা শুরু করেন। তার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নাম মেসার্স মাস্টার এন্টারপ্রাইজ। দুদকের অনুসন্ধানে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তার নামে ২০২২ সালে দুদকের অনুসন্ধান শুরু হয়। এ সময় আসামির নিজ নামে স্থাবর ও অস্থাবর মিলিয়ে ১৫ কোটি ১৭ লাখ ৮৯ হাজার ২৫৫ টাকার সম্পদের মালিকানার তথ্য পাওয়া যায়। অনুসন্ধানে তার পারিবারিক ব্যয়, পরিশোধিত কর ও অপরিশোধিত দায়সহ মোট ১৭ কোটি ১৩ লাখ ৯৯ হাজার ২৬ টাকার সম্পদ পাওয়া যায়। এরমধ্যে ৮ কোটি ২০ লাখ ২১ হাজার ৮০ টাকার সম্পদের বৈধ উৎস পাওয়া গেলেও ৮ কোটি ৯৩ লাখ ৭৭ হাজার ৯৪৬ টাকার সম্পদের কোনো বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি। যা দুদকের অনুসন্ধানে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ বলে প্রমাণিত হয়েছে। এজাহারে আরো বলা হয়েছে, কুমিল্লার আদর্শ উপজেলায় তার নামে ১০ তলায় দুটি ফ্লোর ও ছয়তলা ভবন, কুমিল্লা মহানগরসহ বিভিন্ন জায়গায় ৫০০ শতাংশ জমি, টয়োটা হ্যারিয়ার গাড়ি এবং ব্যাংকে গচ্ছিত আট কোটি টাকার বেশি অস্থাবর সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে।

মামলার বাদী দুদকের সহকারী পরিচালক পাপন কুমার সাহা জানান, কামাল হোসেন ২০১২ সাল হতে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে জ্ঞাত-আয় বহির্ভূত ৮ কোটি ৯৩ লাখ ৭৭ হাজার ৯৪৬ টাকার সম্পদ অর্জনপূর্বক ভোগদখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করার অভিযোগ প্রমানীত হওয়ায় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তদন্তকালে তার জ্ঞাত-আয় বহির্ভূত আরও সম্পদ অর্জনের তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেলে তা মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

মামলার বিষয়ে অভিযুক্ত ঠিকাদার মো. কামাল হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, আমার আয়কর নথিতে সব সম্পদের বিবরণী উল্লেখ করা আছে। এছাড়াও দুদকের অনুসন্ধানকালে সম্পদ অর্জনের তথ্য-উপাত্ত ও কাগজপত্র সরবরাহ করা হয়েছে। যেহেতু মামলা হয়েছে, আইনগতভাবে তা মোকাবিলা করা হবে।