ঢাকা ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বিজয় ট্রেনের স্ট্যাটিং স্টেশন পরিবর্তন

কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি নাগরিক সমাজের

কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি নাগরিক সমাজের

আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে ময়মনসিংহের স্টার্টিং পয়েন্ট পরিবর্তন হয়ে বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনটি চট্টগ্রামের উদ্দেশে জামালপুর স্টেশন থেকে ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়েছে। গত ১৫ নভেম্বর চট্টগ্রাম রেলওয়ে বিভাগের সহকারী চিফ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্ট (পূর্ব) কামাল আক্তার হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই সময়সূচি পরিবর্তন করা হয়।

এ ঘটনায় প্রতিবাদমুখর হয়ে উঠেছে ময়মনসিংহের নাগরিক সমাজ। এই অবস্থায় ময়মনসিংহ থেকে বিজয় ট্রেনের স্টাটিং স্টেশন পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত বাতিদল করা না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন নাগরিক সংগঠনের নেতারা।

এরই অংশ হিসেবে গতকাল দুপুর ১২টায় ময়মনসিংহ নগরের বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সামনের সড়কে প্রতীকী অনশন কর্মসূচি করেছেন জেলা নাগরিক আন্দোলন ও উন্নয়ন সংগ্রাম পরিষদ। এ সময় তারা অবিলম্বে বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনের স্টাটিং স্টেশন পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত বাতিল করার দাবি জানান। এতে বক্তব্য দেন জেলা নাগরিক আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী নূরুল আমীন কালাম, বাসদ নেতা অ্যাডভোকেট এমদাদুল হক মিল্লাত, শিব্বির আহমেদ লিটন, নাগরিক ব্যক্তিত্ব আলী ইউসুফ প্রমুখ।

এ সময় নেতারা বলেন, বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেন ময়মনসিংহের বিজয়ের স্মারক। এটি ময়মনসিংহবাসীর জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার। অথচ রেলের ডিজি নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে ময়মনসিংহ থেকে বিজয় ট্রেনটি ছিনিয়ে নিতে ষড়যন্ত্র করছে। আমরা এই অযৌক্তিক সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে বিজয় ট্রেন জামালপুরে নেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল করা না হলে রেলপথে রক্ত দিতে নাগরিক সমাজ প্রস্তুত রয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, অর্থনৈতিকভাবে ময়মনসিংহ একটি গুরুত্বপূর্ণ জেলা। দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে এই জেলার অবদান অন্যতম। আর এ কারণেই ময়মনসিংহবাসীর র্দীঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৪ সালে দেশের বাণিজ্যিক নগরী চট্টগ্রামের সঙ্গে ময়মনসিংহ থেকে আন্তঃনগর ট্রেন চালু হয়, যা ময়মনসিংহবাসীর জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, বিজয় এক্সপ্রেস জামালপুর-চট্টগ্রাম রুটে চলাচলকারী প্রথম আন্তঃনগর ট্রেন হবে। এটি ২০১৪ সালের ১৯ ডিসেম্বর ময়মনসিংহবাসীর দাবির ফলে উদ্বোধন করা হয়। নতুন করে শোভন চেয়ার, এসি চেয়ার, এসি কেবিন ও নন এসি কেবিনসংবলিত ট্রেনের সর্বনিম্ন শোভন চেয়ারের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৩০ টাকা। সর্বোচ্চ এসি কেবিনের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ৪৭৮ টাকা। এটি রাত ৮টা ১০ মিনিটে জামালপুর রেলওয়ে জংশন থেকে ছেড়ে গিয়ে ময়মনসিংহের পিয়ারপুর, ময়মনসিংহ, গৌরীপুর, আঠারবাড়ী, কিশোরগঞ্জ, সরারচর, ভৈরব, আখাউড়া, কুমিল্লা, লাকসাম, ফেনী, ভাটিয়ারী যাত্রাবিরতি শেষে ভোর ৫টায় চট্টগ্রাম রেলওয়ে জংশনে পৌঁছবে। মঙ্গলবার ছাড়া বাকি ছয় দিন নিয়মিত এ রুটে যাতায়াত করবে ট্রেনটি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত