র্যাব-৪ অভিযান চালিয়ে ঢাকার সাভারে অটোরিকশা চালক রমজান আলী হত্যাকাণ্ডের মূলহোতাসহ অপরাধী চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। এ সময় উদ্ধার করা হয়েছে ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনসহ ও বেশ কিছু নগদ টাকা। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ভোলা জেলার : রাজু (৩০), একই জেলার মহসিন (৪০), নুর আলম (২৮), ইসমাইল (২০) ও আক্তার (১৯)। গতকাল দুপুরে আশুলিয়ায় নবীনগর র্যাব ক্যাম্পে প্রেস ব্রিফিং করে এসব তথ্য জানান সিপিসি-২ এর কমান্ডার লেফটেন্যান্ট রাকিব মাহমুদ খান। রাকিব মাহমুদ খান জানান, গত ৮ অক্টোবর সাভারের হেমায়েতপুর এলাকায় চালক রমজান আলীর অটোরিকশায় যাত্রীবেশে উঠে ছিনতাইকারী চক্রের মূলহোতা রাজু ও তার সহযোগী ইসমাইল। এরপর অটোরিকশাটি নিয়ে ভাকুর্তার কাইসার চর এলাকার নির্জন স্থানে নিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা। ওই স্থানে আগে থেকে ওত পেতে থাকা ছিনতাইকারী চক্রের আরো তিনজন মিলে খেলনা পিস্তলের ভয় দেখিয়ে চালক রমজানের মোবাইল ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়। রমজানের একমাত্র উপার্জনের মাধ্যম অটোরিকশাটিও ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা কালে সে চিৎতকার শুরু করে। এ সময় ছিনতাইকারীরা তার হাত-পা বেঁধে ও গলায় গামছা প্যাঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ একটি নির্জন কলাবাগানে ফেলে অটোরিকশাটি নিয়ে পালিয়ে যায়।
পরে এ ঘটনায় নিহতের পরিবার সাভার মডেল থানার অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করলে ছায়া তদন্ত শুরু করে র্যাব। এরই ধারাবাহিকতায় গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় গতকাল ২৬ নভেম্বর রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর, কেরানীগঞ্জ ও সাভার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন-পূর্বক পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি আরো জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা ভিকটিম রমজানকে হত্যা ও অটোরিকশা ছিনতাইয়ের ঘটনা স্বীকার করেছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা সবাই ভোলা জেলার স্থায়ী বাসিন্দা। তবে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করার পর তারা দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে চলে যায়। এরপর আবারও সম্প্রতি ফিরে তারা এসে ঢাকার মোহাম্মদপুর, কেরানীগঞ্জ ও সাভার এলাকায় ছিনতাই কাজের সাথে জড়িয়ে পড়ে। মূলত এই চক্রের সদস্যরা দিনে অটোরিকশা ও সিএনজিচালক হিসেবে কাজ করলেও রাতের বেলা তারা ভয়ঙ্কর ছিনতাইকারী চক্রের সদস্য। গতকাল দুপুরে তাদের সাভার থানা পুলিশের কাছে সোর্পদ করা হয়।
উল্লেখ্য নিহত রমজান আলী সাভারের ভাকুর্তা ইউনিয়নের শ্যামলাসি ভাড়ারিয়াপাড়া এলাকার মৃত দিল মোহাম্মদের ছেলে।