ঢাকা ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

শতবর্ষে ‘মৈমনসিংহ গীতিকা’

জবিতে আন্তর্জাতিক সেমিনার অনুষ্ঠিত

জবিতে আন্তর্জাতিক সেমিনার অনুষ্ঠিত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ‘মৈমনসিংহ গীতিকা’র শতবর্ষ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের আয়োজনে সাহিত্য-শিল্প বিষয়ক ষষ্ঠ পর্বে মৈমনসিংহ গীতিকা’র শতবর্ষ (১৯২৩-২০২৩) সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক সেমিনারটিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, বাংলা লোকসাহিত্য গুলো সংগ্রহ করে না রাখলে আমরা এ সম্পর্কে জানতে পারতাম না। দীনেশচন্দ্র সেন যদি এ ‘মৈমনসিংহ-গীতিকা না লিখতেন, আমাদের মধ্যে তুলে না ধরতেন, সারা বিশ্বে ছড়িয়ে না পড়তো তাহলে সাহিত্যের মধ্যে লোকসাহিত্যের কী ভূমিকা তা আমরা বুঝতে পারতাম না।

তিনি আরো বলেন, লোকসাহিত্য এবং লোক মানুষের সৃষ্টি, যা স্বতঃস্ফূর্তভাবে সৃষ্টি হয়, যেটা প্রকৃতিতে সৃষ্টি হয়, নদী-গঙ্গা বেয়ে যাচ্ছে তার ভেতরে কুলকুল শব্দ হয় সেটা কবিরা বুঝেছিলেন। এই যে গাঙের ঢেউ, গাঙের ঢেউয়ের যে ছন্দ, তা আমাদের বুঝতে সাহায্য করেছে।

বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক আরো বলেন, প্রকৃতি থেকে বেরিয়ে আসা সৃষ্টিশীলতা তার কথা বলছি, আর এগুলোই বাংলার সৃষ্টিশীলতা। আমরা যদি ইংরেজি সাহিত্যের কথা বলি, ইটালিয়ানো সাহিত্যের কথা বলি, তখন আমরা যাই কিচ্ছা-কাহিনির দিকে; যে কিচ্ছা-কাহিনি মিলে বড় ধরনের কাব্য তৈরি হয়। আর তাই বাংলা লোকসাহিত্য বিদ্যমান।

বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিল্টন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক আলোচক হিসেবে ছিলেন ভারতের আচার্য দীনেশচন্দ্র সেন রিসার্চ সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক দেবকন্যা সেন এবং ঢাকার ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টারের পরিচালক মৃন্ময় চক্রবর্তী।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সহযোগী অধ্যাপক ড. সাবিনা ইয়াসমিন এবং স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন সেমিনার কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. চঞ্চল কুমার বোস।

এছাড়া আলোচক হিসেবে ছিলেন বাংলা বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষিকা। এ সময় বিভাগীয় শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। মৈমনসিংহ-গীতিকা যাতে ময়মনসিংহ অঞ্চলে প্রচলিত পালাগানগুলো লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। এই গানগুলো প্রাচীন কাল থেকে মানুষের মুখে মুখে প্রচারিত হয়ে আসছে। তবে ১৯২৩-৩২ সালে ডক্টর দীনেশচন্দ্র সেন এই গানগুলো অন্যদের সহায়তায় সংগ্রহ করেন এবং স্বীয় সম্পাদনায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় হতে প্রকাশ করেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত