চুপি চুপি কবরস্থানে ঢুকে ৫ বছর বয়সি এক মেয়েশিশুর কবর খুঁড়ে মরদেহ তুলে আনে এক যুবক। শুধু তাই নয়, কবর থেকে তুলে আনা ওই শিশুর মরদেহের পাশেই শুয়েছিলেন ওই যুবক। ভারতের উত্তর প্রদেশের বারাণসীর ঘটনা এটি। এ ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ওই ব্যক্তি মরদেহের সঙ্গে যৌনাচার করেছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে তারা। মৃত শিশুটির বাবা দশাশ্বমেধ এলাকায় থাকেন। তিনি জানান, অসুস্থ হয়ে তার মেয়ের মৃত্যু হয়েছিল। এরপর তিনি বারাণসীর রেওয়ারি তালাব এলাকায় মৃত মেয়েকে সমাধিস্থ করেন। এদিকে পরের দিনই তার সন্দেহ হয়। তিনি ওই এলাকায় গিয়ে দেখেন, তার মেয়ের কবরটি খোঁড়া রয়েছে। কিন্তু তিনি মৃত মেয়ের মরদেহ খুঁজে পাননি। এর পরই এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়ে যায়। শুরু হয় মরদেহ খোঁজা। তারপর জানা যায়, মোহাম্মদ রফিক নামে ৩০ বছর বয়সি এক যুবক শিশুটির মরদেহের পাশে শুয়ে রয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, কিছুটা অস্বাভাবিক অবস্থায় ছিলেন ওই যুবক। পরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডেপুটি পুলিশ কমিশনার আরএস গৌতম। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে- ওই যুবক কেন মরদেহ জড়িয়ে শুয়ে ছিলেন। পরে মরদেহের ময়নাতদন্তও করা হয়। সেখানে ওই শিশুকে যৌন হেনস্তা করা হয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে। তিনজন চিকিৎসকের প্যানেল এ ময়নাতদন্ত করেন। এরপর প্যানেলের পক্ষ থেকে বলা হয়, এই যৌন হেনস্থার পেছনে কারা রয়েছে সেটা জানা দরকার। সে কারণে ওই অভিযুক্তের সঙ্গে ডিএনএ মিলিয়ে দেখার কথাও বলা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, আদালতের কাছে আবেদন করা হবে যেন ওই অভিযুক্তের ডিএনএ মিলিয়ে দেখার ব্যবস্থা করা হয়। এদিকে এভাবে মরদেহ কবর থেকে খুঁড়ে বের করে জড়িয়ে ধরে শুয়ে থাকার ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় শোরগোল পড়ে গেছে। আর কেউ এ ঘটনার সঙ্গে যুক্ত কি না সেটি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। কেন ওই ব্যক্তি এমন কাণ্ড ঘটালেন, সেটাও খতিয়ে দেখছে তারা।