সিরাজগঞ্জে হত্যার দায়ে দুইজনের মৃত্যুদণ্ড

মাদক মামলায় একজনের যাবজ্জীবন

প্রকাশ : ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  স্টাফ রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জ

সিরাজগঞ্জে শিশুসহ তিনজনকে হত্যার দায়ে দুইজনকে মৃত্যুদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং মাদক মামলায় এক মাদক কারবারিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন পৃথক দুটি আদালত। মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার চালা গ্রামের আঃ মুন্নাফের ছেলে আল আমিন (৩৬) ও জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার পবাহার নয়াপাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে রবিউল ইসলাম (৩০) এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত শহিদুল ইসলাম (৩৫) সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার শেষ পৃষ্ঠার পর এরান্দহ গ্রামের শাহেদ আলীর ছেলে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ ফজলে খোদা মোঃ নাজির এক শিশু ও দুই নারীকে হত্যার অভিযোগে ওই দুই আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডাদেশ দিয়েছেন। ওই আদালতের পিপি গাজী আঃ রহমান সাংবাদিকদের জানান, পরকীয়া প্রেমিক আল আমিন ও তার গাড়িচালক রবিউল ইসলাম ২০১৬ সালের ৩১ জুলাই গাজীপুরে শ্রীপুর উপজেলার বেতঝুড়ি নতুন বাজারের কাপড়ের দোকানে মোবাইল ফোনে পরকীয়া প্রেমিকাকে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে পরকীয়া প্রেমিকা নাসরিন আক্তার (৩০), তার বোনের শিশুকন্যা জাইমা খাতুন (৫) ও ফুফু মেহেরুননেছাকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। এ হত্যার পর মরদেহ তিনটি গুম করার উদ্দেশ্যে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ালের পাশে যমুনা নদীতে ফেলে দেয়া হয়। পরের দিন পুলিশ বস্তাবন্দি তাদের ভাসমান মরদেহ উদ্ধারের পর স্বজনরা শনাক্ত করে। এ ব্যাপারে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। পুলিশ এ মামলার তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। এ মামলার দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ওই আদালতের বিচারক উল্লেখিত রায় ঘোষণা করেন। এদিকে একই সময় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২ এর বিচারক মোঃ আবুল বাশার মিঞা মাদক মামলায় শহিদুল ইসলামকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন। ওই আদালতের অতিরিক্ত পিপি জেবু ন্নেছা (জেবা রহমান) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ২০২২ সালে সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার এরান্দহ গস্খাম থেকে শহিদুল ইসলামকে হেরোইনসহ গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-১২ সদস্যরা। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা করা হয়। এ মামলার তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ওই আদালতের বিজ্ঞ বিচারক উল্লেখিত রায় ঘোষণা করেন।