সুসংবাদ প্রতিদিন

রঙিন ফুলে স্বপ্ন দেখছেন শিম চাষি বুলবুল

প্রকাশ : ৩০ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  দিনাজপুর প্রতিনিধি

সবুজ পাতার ফাঁকে উঁকি দেওয়া শিম বাগানের রঙিন ফুলে ভরে গেছে বিস্তীর্ণ মাঠ। দূর থেকে দেখলে মনে হবে ফুলের বাগান এ যেন এক অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি। হালকা কুয়াশায় শীতের সকালে বিস্তীর্ণ মাঠে শিমের বাগান দেখলে মন জুড়িয়ে যায়। রবি মৌসুমের শুরুতেই মাচায় ওঠা শিমের সবুজ গাছে এমন মনোরম দৃশ্যে ভরে উঠেছে দিনাজপুরের বীরগঞ্জের কাজলগ্রাম। আর এই শিম বাগানের সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে উঁকি দেওয়া রঙিন ফুলে স্বপ্ন দেখছেন উপজেলার পাল্টাপুর ইউনিয়নের কৃষক বুলবুল ইসলাম। কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় মোট আবাদি জমির পরিমাণ ৩২ হাজার ৮০৯ হেক্টর। এবার ১৮০০ শত হেক্টর জমিতে শাক-সবজির চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বিগত কয়েক বছর ধরেই বীরগঞ্জ উপজেলার প্রায় প্রত্যেকটি ইউনিয়নে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে আগাম শীতকালীন সবজি শিম। অন্যান্য ফসলের তুলনায় কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় দিন দিন শিম চাষে ঝুঁকছেন চাষিরা। শিম চাষি বুলবুল ইসলাম জানান, এ বছর আমি দেড় বিঘা জমিতে আগাম শিম চাষ করেছি এতে জমি তৈরি, হালচাষ, রাসায়নিক সার, জৈব সার, কীটনাশক, মাচায় ও শ্রমিকের খরচসহ সর্বমোট ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। তবে আমার শিম বাগানে ফলন ভালো হয়েছে পুরো বাগান বহুসংখ্যক ফুলে ও ফলে ভরপুর এজন্য আগাম ভালো দামে শিম বিক্রি করেছি। শুরুর দিকে প্রতি কেজি শিম সপ্তাহজুড়ে পাইকারি বাজারে ১২০-১৫০ টাকা বিক্রি করেছি কিন্তু বর্তমানে বাজারে পর্যাপ্ত শিম আসায় প্রতি কেজি শিমের দাম ৪০-৪৫ টাকায় বিক্রি করছি এখন প্রর্যন্ত আমার শিম বাগান হতে সর্বমোট ২ লাখ টাকা শিম বিক্রি করছি। আশা করি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ৩ লাখ টাকা পার বিক্রি করতে পারব। তিনি আরো বলেন, আমার শিম বাগানে প্রতিনিয়ত বেশ কয়েকজন শ্রমিক কাজ করে এবং ২-৩ দিন পর পর খেত হতে শিম সংগ্রহ করে বাজারজাত করি ও ৪-৫ দিন পর কীটনাশক স্প্রে করতে হয় কারণ মাঝে মধ্যে পোকার আক্রমণ দেখা যাচ্ছে এবং শিম গাছের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অধিকাংশ পাতা হলুদ হচ্ছে তারপর বাম্পার ফলন হয়েছে দাম ভালো পাচ্ছি। এ ব্যপারে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. শরিফুল ইসলাম জানান, এ বছর উপজেলাজুড়ে ১৮০০ শত হেক্টর জমিতে সবজির চাষের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে তার মধ্যে ১০ হেক্টর জমিতে আগাম শিম চাষ করছে চাষিরা। তবে কম খরচে অধিক লাভ হওয়ায় অধিকাংশ কৃষকরা শিম চাষে ঝুঁকছে এবং শিম চাষে রোগবালাই, পোকা আক্রমণে রক্ষায় বিভিন্ন ফাদ ব্যবহারসহ কৃষকদের বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ প্রদানে মাঠ পর্যায়ে কৃষি অফিস কাজ করছে।