বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার হাত ধরেই বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও সুদৃঢ় হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল।
গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে ‘গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও নির্বাচন : বাংলাদেশ পরিপ্রেক্ষিত’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
উপাচার্য অধ্যাপক এএসএম মাকসুদ কামাল বলেন, পাকিস্তানের ২৩ বছরের শাসনামলে আমাদের গণতন্ত্র ও নির্বাচনের মৃত্যু হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মহান স্বাধীনতা অর্জনের মাধ্যমে এদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সামরিক স্বৈরশাসক ও স্বাধীনতাবিরোধীদের ক্ষমতায় বসার কারণে এদেশের গণতন্ত্র ও উন্নয়নের ধারা পুনরায় বাধাগ্রস্ত হয়। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই এদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত ও সুদৃঢ় হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে এদেশকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। বিদেশি পরাশক্তিসহ দেশবিরোধীদের সব অপচেষ্টা প্রতিহত করে উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রাখার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করার জন্য সকলের প্রতি উপাচার্য আহ্বান জানান।
ক্যাম্পেইন অ্যাডভোকেসি প্রোগ্রামের ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত এই সেমিনারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছারের সভাপতিত্বে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রহিম। প্রবন্ধের উপর আলোচনায় অংশ নেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফ এম আব্দুল মঈন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টেলিভিশন, ফিল্ম অ্যান্ড ফটোগ্রাফি বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এজেএম শফিউল আলম ভূঁইয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা।
