পুষ্টিকর সবজি মিষ্টি কুমড়া। ভাজি থেকে শুরু করে তরকারি- অনেকভাবেই এটি খাওয়া হয়। তবে কেবল কুমড়া নয়, এর শাকও কিন্তু অনেকের প্রিয় খাবারের তালিকায় রয়েছে। ডাল, চচ্চড়ি কিংবা ভাপা, পাতুড়ি- সবভাবেই খাওয়া যায় এটি। জানলে অবাক হবেন, আমাদের দেশের মতো বিদেশেও ক্রমশ জনপ্রিয় হচ্ছে এই শাক। পুষ্টিবিদদের মতে, এই শাকের অনেক উপকারিতা রয়েছে। চলুন জানা যাক, কেন কুমড়ার শাক খাবেন-
দৃষ্টিশক্তি বাড়ায় : দৃষ্টিশক্তি উজ্জ্বল রাখতে কুমড়াশাকের জুড়ি মেলা কঠিন। নিয়মিত এই শাক খেলে বাড়বে জ্যোতি। সেই সঙ্গে হাড় ও দাঁতের স্বাস্থ্য থাকবে মজবুত।
শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে : প্রোটিনে ভরপুর কুমড়া শাক রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। ব্লাড সুগারের সমস্যা থাকলে নিয়মিত এই শাক খান। এতে নিয়ন্ত্রণে থাকবে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রাও।
আয়রনের ঘাটতি মেটায় : ঘন সবুজ কুমড়া পাতায় আছে প্রচুর আয়রন। নিয়মিত এই শাক খেলে শরীরের রক্তাল্পতা রোধ হয়। তাই নারীরা রোজকার পাতে কুমড়া শাক রাখতে পারেন।
ত্বকের জেল্লা বাড়ায় : কুমড়া পাতায় আছে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন ‘সি’। এটি ত্বকের জেল্লা ধরে রাখতে সাহায্য করে। পাশাপাশি ছোটোখাটো ক্ষত সারিয়ে তোলে। মজবুত করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।
ওজন কমায় : ওজন কমাতে চাইলে ডায়েটে রাখুন কুমড়া শাকের তরকারি। এতে ক্যালোরি প্রায় নেই বলেই চলে। বরং থাকে প্রচুর পুষ্টিগুণ যা শরীরের সব চাহিদা মেটায়। শরীরে মেদ জমতে দেয় না এই শাক।
পরিপাক ক্রিয়া মসৃণ রাখে : পরিপাক ক্রিয়া মসৃণ রাখে কুমড়া শাক। স্নায়ু সতেজ রাখতেও ডায়েটে এই শাক রাখতে পারেন। যেসব মায়েরা শিশুকে স্তন পান করাচ্ছেন, সেসব মায়েদের জন্য কুমড়াশাক বেশ উপকারী।