মুলার উপকারিতা

প্রকাশ : ০২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

শীতের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে বাজারে দেখা মিলছে হরেক রকম সবজির। বিট, গাজর, মটরশুঁটি, ফুলকপির পাশাপাশি দেখা মিলছে মুলারও। তবে কিছুটা গন্ধ থাকায় অনেকে এই সবজি পাতে তুলতে চান না। অবহেলিত মুলার উপকারিতা জানলে কিন্তু এটি আর এড়িয়ে যেতে ইচ্ছা করবে না। শীত এক দিকে যেমন ভালো, তেমনি আবার খারাপও। কেননা, এই সময়ে নানা রোগজীবাণুর প্রকোপ বাড়ে। মুলাতে আছে ফোলেট, ফাইবার, রাইবোফ্ল্যাবেন, পটাশিয়াম, ভিটামিন বি৬, ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ এবং ক্যালশিয়ামের মতো উপাদান। শরীর ভালো রাখতে এসব উপাদান বেশ উপকারি। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এগুলো। এছাড়াও মুলাতে আছে ‘অ্যান্থোসায়ানিন’ নামক একটি যৌগ, যা হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারি। শীতকালে কেন খাবার পাতে কেন মুলা রাখবেন জানুন-

শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে : মুলোতে রয়েছে গ্লুকোসিনোলেট ও আইসোথিয়োসায়ানেট নামক দু’টি উপাদান। এই দু’টি উপাদানই রক্তে শর্করার ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।

লিভার ভালো রাখে : মুলায় আছে ইন্ডোল-৩-কার্বিনল এবং ৪-মিথাইলথিয়ো-৩-বুটেনাইল আইসোথিয়োসায়ানেট। এসব উপাদান উৎসেচক ক্ষরণে উদ্দীপকের কাজ করে। যা সহজেই লিভারে জমা টক্সিন সহজেই দূর করতে সাহায্য করে।

হার্টের জন্য উপকারি : মুলায় আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। সঙ্গে আছে ক্যালশিয়াম ও পটাশিয়ামের মতো খনিজ। যা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। গবেষণা অনুযায়ী, মুলাতে আছে ট্রিগোনেলিনের মতো বিশেষ একটি উপাদান। এটি রক্তবাহিকার কার্যকারিতা সহজ করে।

ক্যান্সার প্রতিরোধক : মুলায় উচ্চ পরিমাণ ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এটি ক্যান্সার প্রতিরোধক। গবেষণা অনুযায়ী, লিভার, স্তন, প্রস্টেট, মলাশয় এবং ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমাতে সক্ষম মুলা।

অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদানে ভরপুর : মুলা খেলে ছত্রাকঘটিত সংক্রমণের সমস্যা কমে। কারণ এই সবজিতে আছে আরএসএএফপি ২ নামক একটি অ্যান্টিফাঙ্গাল প্রোটিন। যা শরীরে ফাঙ্গির আক্রমণে বাধা দেয়।