সুসংবাদ প্রতিদিন

স্কোয়াশ চাষে ভাগ্যবদলের আশা

প্রকাশ : ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

উচ্চমূল্যের নতুন জাতের আঁশজাতীয় বিষমুক্ত বিদেশি সবজি স্কোয়াশ চাষ করে লাভের স্বপ্ন দেখছেন কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার বিদেশ ফেরত যুবক সোহেল। এরই মধ্যে নতুন জাতের নানারকম সবজি উৎপাদন করে সফল চাষি হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন তিনি। স্কোয়াশ একটি বিদেশি সবজি। স্কোয়াশ মূলত একটি শীতকালীন সবজি। এটা দেখতে অনেকটা বাঙ্গি ফলের মতো। এটি মিষ্টি কুমড়ার স্বাদে পুষ্টিকর একটি সবজি। সবজি হিসেবে এই এলাকায় স্কোয়াশ নতুন হওয়ায় বাজারে এর চাহিদা ও দামও আশাব্যঞ্জক। জানা গেছে, স্কোয়াশ চাষি সোহেল রানা উপজেলা সদরের মহালক্ষীপাড়া গ্রামের মাওলানা আবদুল মালেকের ছেলে। তিনি কয়েক বছর আগে প্রবাসী জীবনের ইতি টেনে চলে আসেন স্বদেশে। তারপর থেকেই নিজের মেধা ও শ্রমকে কাজে লাগিয়ে ফসল উৎপাদন করে ভাগ্যবদলের নেশায় ডুবে যান তিনি। নতুন নতুন সবজি চাষে মনোনিবেশ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় ইউটিউবে স্কোয়াশ চাষের একাধিক প্রতিবেদন দেখে স্কোয়াশ চাষে উদ্বুদ্ধ হোন তিনি। পরে স্কোয়াশের বীজ সংগ্রহ করে বাড়ির পাশের পতিত জমিতে বীজতলা প্রস্তুত করে ওই বীজ বপণ করেন। স্কোয়াশের চারা রোপণের উপযোগী হলে প্রায় ২১ শতক জমিতে স্কোয়াশের চারা রোপণ করেন তিনি। মাসখানেক পরেই গাছে দুই-তিনটি করে স্কোয়াশ ফল ধরতে শুরু করে। স্কোয়াশ বিক্রি উপযোগী হতেই বিক্রি শুরু করেন তিনি। বর্তমানে বাজারে স্কোয়াশ ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে খুচরা মূল্যে বিক্রি হচ্ছে। স্কোয়াশ চাষি সোহেল রানা বলেন, ইউটিউবে বিভিন্ন ভিডিও দেখে পরীক্ষামূলকভাবে এ বছর স্কোয়াশ চাষ করেছি। স্থানীয় কৃষি অফিসের পরামর্শে নিবিড় পরিচর্যা ও কোনো রোগবালাই না হওয়ায় স্বল্প খরচে ভালো ফলন পেয়েছি। আমাকে দেখে অনেক কৃষকও আগ্রহী হয়ে উঠছেন। আগামীতে স্কোয়াশ চাষের পরিধি আরও বৃদ্ধি করার আশা আছে। স্কোয়াশ সব মাটিতে ভালো হয় না। কেবল বেলে, দোআঁশ মাটিতে ভালো ফলন হয়। প্রতিটি স্কোয়াশ গাছে রোপণের পর থেকে প্রায় আড়াই মাসে ৮ থেকে ১০টির মতো ফল ধরে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. মাসুদ রানা বলেন, স্কোয়াশ বিগত কয়েকবছর ধরেই বাংলাদেশে চাষ হচ্ছে। স্কোয়াশ চাষের সুবিধা হচ্ছে, এটি অল্প সময়ে ও সাশ্রয়ী মূল্যে চাষ করা যায়। এটি চাষে অল্প জায়গা দখল করে। সঠিক পরিচর্যা ও কৃষি অফিসের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী এটি আবাদ করলে প্রতি গাছে ৮ থেকে ১০টি ফল ধরে। দেশে ও বিদেশে এ সবজির ভালো চাহিদা আছে। বাজারে এর দামও ভালো। ফলে অন্যান্য কুমড়াজাতীয় সবজির তুলনায় স্কোয়াশ চাষ লাভজনক।