গাজায় ইসরাইলি বিমান হামলায় ২৪ ঘণ্টায় ৭০০ ফিলিস্তিনি নিহত
প্রকাশ : ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি বিমান হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৭০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। গতকার গাজার সরকারি মিডিয়া অফিসের মহাপরিচালক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরাকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি আরো জানিয়েছেন, গাজা উপত্যকায় এখন ১৫ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছেন। সাত দিনের অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি শেষে গত শুক্রবার থেকে আবারও গাজায় নির্বিচারে বর্বর বিমান হামলা চালানো শুরু করেছে দখলদার ইসরাইলি সেনারা। এখন তারা গাজার দক্ষিণাঞ্চলে অনবরত বোমা ফেলছে। যুদ্ধের শুরুতে উত্তরাঞ্চলে হামলা চালিয়েছিল ইসরাইলিরা। ওই সময় সাধারণ মানুষকে দক্ষিণাঞ্চলে সরে যাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। তারা বলেছিল, গাজার দক্ষিণাঞ্চলে চলে গেলে নিরাপদ থাকা যাবে। তবে এখন এই দক্ষিণাঞ্চলেই হামলা চালানো শুরু করেছে ইসরাইলি বাহিনী। এতে সাধারণ মানুষের ব্যাপক প্রাণহানি হচ্ছে। ইসরাইলি হামলা গাজার ১০ লাখ শরণার্থীকে মিশরের দিকে ঠেলে দিতে পারে গাজায় সাধারণ ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরাইল, যেসব বোমা ব্যবাহার করছে সেগুলো তাদের সরবরাহ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল ও ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, ইউএস সি-১৭ সামরিক কার্গো বিমান দিয়ে ইসরাইলে এখন পর্যন্ত ১৫ হাজার বোমা পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যেগুলোর মধ্যে রয়েছে শক্তিশালী ‘বাঙ্কার বাস্টার’ বোমা। এছাড়া দখলদার ইসরাইলিদের ১৫৫ মিলিমিটারের ৫৭ হাজার শেল দিয়েছে মার্কিনিরা। ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল আরো জানিয়েছে, গাজায় দখলদার ইসরাইলি সেনারা সবচেয়ে ভয়াবহ ও প্রাণঘাতী যেসব হামলা চালিয়েছে সেগুলোতে ব্যবহার করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বোমা।
বর্তমানে গাজার দক্ষিণাঞ্চলের খান ইউনিসকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে ইসরাইল। খান ইউনিসের বাসিন্দারা জানান, প্রায় দুই মাস আগে যুদ্ধ শুরুর পর গত শনিবার এখানে সবচেয়ে বেশি বোমা ফেলেছে ইসরাইলি বাহিনী।
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে- ইসরাইলিদের এমন অব্যাহত হামলা গাজার বাসিন্দাদের মিশরের দিকে ঠেলে দিতে পারে। এতে সেখানে মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি হতে পারে। গাজার সীমান্ত লাগোয়া মিশরও অভিযোগ করেছে, ইসরাইল গাজার বাসিন্দাদের মিশরের দিকে পাঠানোর চেষ্টা করছে। এর অংশ হিসেবে খান ইউনিস থেকে সাধারণ ফিলিস্তিনিদের সীমান্তবর্তী অঞ্চল রাফাহতে চলে যেতে বলছে। তবে মিশর জানিয়েছে, জোরপূর্বক গাজার বাসিন্দাদের অন্যত্র স্থানান্তর কখনো মেনে নেবে না তারা।