সৌদি নাগরিককে ছুরিকাঘাত করে ছিনতাই মামলায় গ্রেপ্তার তিন

প্রকাশ : ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার

কক্সবাজার শহরে কলাতলী এলাকায় সৌদি আরবের এক নাগরিককে ছুরিকাঘাত করে ছিনতাইয়ের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। গত শনিবার রাতে শহরে পৃথক অভিযানে এ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজা জোনের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ গতকাল বিকালে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন। গ্রেপ্তাররা হলেন, কক্সবাজার শহরের ঝাউতলা এলাকার আবুল ফয়েজের ছেলে মেহেদী হাসান বাবু (১৬), মো. ইউসুফের ছেলে আবির হোসেন সান (২৩), মনির হোসেনের ছেলে মোঃ আবির (১৯), সিরাজুল ইসলামের ছেলে মোসাইদুল ইসলাম সামাদ (১৮)। এ সময় ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলও জব্দ করা হয়েছে।

ট্যুরিস্ট পুলিশের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ জানিয়েছেন, গত শুক্রবার রাতে সাড়ে ১১টায় শহরের কলাতলীর হোটেল ওশান প্যারাডাইস-সংলগ্ন সড়কে মোটরসাইকেলযোগে ছয়জন এসে সৌদি আরবের নাগরিক হুদাইবি খালিদ মোহাম্মদ এবং তার সৌদি প্রবাসী মো. রাকিব শেখকে গতির রোধ করে। এ সময় হুদাইবি খালিদ মোহাম্মদকে ছুরিকাঘাত করে মোবাইল ফোন, সৌদি আবরের নগদ ৫০০ রিয়াল এবং বাংলাদেশি সাড়ে ৩ হাজার টাকা, এনআইডি কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ মানিব্যাগ জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় আহত সৌদি নাগরিককে প্রথমে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা প্রদান করা হয় এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে রেফার্ড করেন। এ ঘটনায় মো. রাকিব শেখ বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর থানায় একটি মামলা করেন।

আপেল মাহমুদ জানান, মামলাটি তদন্ত কার্য ট্যুরিস্ট পুলিশকে দেয়ার পর নানা কৌশলে এবং প্রযুক্তির সহায়তা ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে। এরপর শনিবার রাতে বিভিন্ন স্থানে ৮ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ঘটনায় জড়িত অপর দুজনও শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের ধরতে অভিযান চলছে। এরই মধ্যে গ্রেপ্তারের মধ্যে মেহেদী হাসান বাবু আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্ধি প্রদান করেছে। অপর তিনজনকে আদালতে পাঠানো প্রক্রিয়া চলছে। এক প্রশ্নের উত্তর আপেল মাহমুদ বলেন, কক্সবাজার শহরে ছিনতাইয়ে জড়িত সাত-আটটি গ্রুপকে এরই মধ্য শনাক্ত করা হয়েছে, যাদের ধরতে অভিযান চলছে। একই সঙ্গে ছিনতাইয়ে ঝুঁকিপূর্ণ কয়েকটি স্পটও চিহ্নিত করা হয়েছে। যেখানে ট্যুরিস্ট পুলিশের নজরধারী বাড়ানো হয়েছে।