ডিউটির নির্ধারিত সময় শেষ হয়ে যাওয়ায় প্রায় আড়াই হাজার যাত্রী ফেলে চলে গেলেন ট্রেনের চালকরা। মাঝ রাস্তায় হাজার হাজার যাত্রী নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকল দুটি ট্রেন। পড়তে অবাক লাগলেও সম্প্রতি ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যে আসলেই এমন ঘটনা ঘটেছে। ভারতের নর্থ-ইস্টার্ন রেলওয়ের কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সহর্ষা-নয়াদিল্লি ছাঁট পূজা স্পেশাল ট্রেনটির বিহারের সহর্ষা স্টেশন ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল ২৭ নভেম্বর সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে। কিন্তু সেটি পরের দিন সকালে সহর্ষা স্টেশন ছেড়ে যায়। পথিমধ্যে বুরওয়াল স্টেশন এসে থেমে যায় সহর্ষা-নয়াদিল্লি। একপর্যায়ে যাত্রীরা দেখতে পান, ট্রেনের চালক ট্রেন ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। কেন চলে যাচ্ছেন জিজ্ঞেস করলে চালক বলেন, তার ডিউটির সময় শেষ। এদিকে, বারুয়ানি-লক্ষ্মৌ এক্সপ্রেস নামক আরেক ট্রেন বুরওয়াল জংশনে বিরতি দেওয়ার কথা না থাকলেও সেটি সেখানে এসে থেমে যায়। একপর্যায়ে যাত্রীরা দেখতে পান, ট্রেনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ট্রেন ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। পরে ট্রেনটি প্রায় সাড়ে ৫ ঘণ্টা দেরিতে স্টেশন ছেড়ে যায়। স্থানীয় রেল কর্মকর্তারা জানান, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ট্রেন দুটিতে পানি, খাবার ও বিদ্যুতের অভাব দেখা দেয়। এতে যাত্রীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন ও তাদের বড় একটি অংশ রেললাইন অবরুদ্ধ করার চেষ্টা করেন। অন্যদিকে, দুটি ট্রেন লাইনে থেমে থাকায় সংশ্লিষ্ট রেল ট্র্যাকে রেল চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এমন পরিস্থিতি কয়েক ঘণ্টা চলে। পরে অন্য জংশন থেকে চালক এনে ট্রেন দুটিকে চালানোর ব্যবস্থা করা হয়। এক রেল কর্মকর্তা জানান, এক ট্রেনচালক বলেন, ডিউটির সময় শেষ হয়ে যাওয়া তিনি ট্রেন থেকে চলে গেছেন। অন্যজন জানান, শারীরিকভাবে অসুস্থ বোধ করায় ট্রেন ছেড়ে চলে যান। এমন পরিস্থিতিতে গোন্ডা জংশন থেকে চালক এনে ট্রেন দুটিকে আবার চালু করা হয়। এ ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।