রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও শ্রমজীবী মানুষদের ভাড়া করে জ্বালাওপোড়াও এবং ককটেল বিস্ফোরণের মতো ঘটনা ঘটানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান।
১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা ও ট্র্যাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সমন্বয় সভায় গতকাল তিনি এ কথা বলেন। ডিএমপি কমিশনার বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে জ্বালাওপোড়াও এবং ককটেল বিস্ফোরণের বিষয়গুলো একেবারে উপেক্ষা করা যাবে না। এরই মধ্যে তদন্তে এসেছে তারা (রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী) নিজেরা এটি করেছে এবং শ্রমজীবী মানুষ ভাড়া করে এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে।
এজন্য গোয়েন্দা সংস্থা ও ইউনিফর্মধারী পুলিশ আরও বেশি সতর্ক থেকে দায়িত্ব পালন করবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, এরই মধ্যে গত ১৮ অক্টোবর মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম. মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ১২তম সভায় ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকাসহ সারা দেশের গুরুত্বপূর্ণ সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বা স্থাপনায় স্ব-উদ্যোগে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। সভায় ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অপারেশনস) বিপ্লব কুমার সরকার পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে সার্বিক নিরাপত্তা পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন। এসময় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) একেএম হাফিজ আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) ড. খ. মহিদ উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) মহা. আশরাফুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার ও উপ-পুলিশ কমিশনারসহ বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।