লাউ চাষ করে সাফল্য পেয়েছেন নাটোরের তিন বন্ধু। মালচিং পদ্ধতিতে চাষের ভিডিও দেখে তারা লাউ চাষ করছেন। দেশীয় পদ্ধতিতে কোনো প্রকার কীটনাশক ছাড়া লাউ চাষ করে উপজেলার ধামনপাড়ার মুন্না, সুজন মীর ও একই গ্রামের ওয়াসিম। এরই মধ্যে এলাকায় তারা আদর্শ লাউ চাষি হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। জানা যায়, বাল্যকাল থেকে তাদের একসঙ্গে বেড়ে ওঠা, খেলাধুলা ও লেখাপড়া করেছেন। একসময় তারা বেকার ছিলেন, সংসারের গ্লানি টানতে ও অন্যান্য কাজ করেন। কোথাও সফলতা না পেলে বেছে নেন কৃষি কাজ। ইউটিউব দেখে শুরু করেন লাউ চাষ। বর্তমানে লাউ চাষে সফলতা পেয়েছেন তারা। মালচিং পদ্ধতিতে কোনো প্রকার কীটনাশক ছাড়া দেশি জাতের লাউ চাষ করছেন। মালচিং পদ্ধতিতে দেশি জাতের লাউ আবাদে দেড় বিঘা জমি তৈরি, চারা, সার, বালাইনাশক, বীজ রোপণ, মাচা তৈরি, আগাছা পরিষ্কার ও শ্রমিকসহ প্রায় ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়। এ পর্যন্ত লাউ বিক্রি করে খরচের টাকা উঠেছে। এখন লাভের মুখ দেখছেন তারা। প্রতি সপ্তাহে এই লাউ উত্তোলন করে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা বিক্রয় হচ্ছে। সরেজমিন দেখা যায়, মাচায় ঝুলে আছে অসংখ্য ছোট বড় লাউ। প্রতিনিয়ত সকাল বিকেল চলছে লাউ ক্ষেত পরিচর্যা। বাজারে বিক্রিতে ভালো দাম পাওয়ায় তারা বেশ খুশি। এরই মধ্যে তার সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিদিন বিভিন্ন স্থান থেকে লোকজন দেখতে ও পরামর্শ নিতে আসছেন তার কাছে। এ বিষয়ে নলডাঙ্গা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মো. কিশোয়ার বলেন, আমরা জানতে পেরেছি তিন বন্ধুর লাউ চাষের কথা। আমরা প্রাথমিকভাবে তাদের একটি প্রদর্শনী দিয়ে তাদের অন্যান্য কৃষি কাজের উপরে ট্রেনিং ও সরকারি সকল সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হবে।