যাত্রী সুবিধার কথা বিবেচনা করে খুলনা-যশোর-মোংলা রুটে তিন জোড়া যাত্রীবাহী ট্রেন পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এর আগে গত ২ নভেম্বর খুলনা-মোংলা নতুন সেকশন উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ পথে আগামী এক জানুয়ারি থেকে ট্রেন চলাচল শুরু হবে। গতকাল রেল ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, খুলনা-যশোর-মোংলা রুটে নতুন যাত্রীবাহী ট্রেন সার্ভিস চালু হতে যাচ্ছে। এ পথে কমিউটার ট্রেন চালানো হবে। ট্রেনগুলোর নম্বর হবে ১১৩-১১৮। এর মধ্যে খুলনা-যশোর পথে একজোড়া এবং যশোর-মোংলা পথে দুই জোড়া ট্রেন চলাচল করবে।
খুলনা থেকে ট্রেন ছাড়বে সকাল ৬টায়, যশোর পৌঁছাবে সকাল ৭টা ১০মিনিটে, যশোর থেকে ট্রেন ছাড়বে সকাল ৭টা ৫৫ মিনিটে এবং খুলনা পৌঁছাবে সকাল ১০টা ২৫ মিনিটে। মোংলা থেকে ট্রেন ছাড়বে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে, ট্রেনটি যশোর স্টেশনে পৌঁছাবে দুপুর ১টা ৫ মিনিটে, সেখান থেকে ১টা ৫৫ মিনিটে ট্রেন ছেড়ে মোংলা পৌঁছাবে বিকেল ৪টা ২৫ মিনিটে। অন্যদিকে মোংলা থেকে ট্রেন ছাড়বে বিকাল ৪টা ৫০ মিনিটে, যশোর পৌঁছাবে বিকাল ৭টা ১০ মিনিটে, যশোর থেকে বিকাল ৭টা ৪০ মিনিটে ট্রেন ছেড়ে খুলনা পৌঁছাবে রাত ৯টায়।
যশোর থেকে মোংলা পর্যন্ত এ ট্রেনের ভাড়া ধরা হয়েছে, শোভন সাধারণ ১২৫ টাকা, শোভন চেয়ার ১৫০ টাকা ও প্রথম শ্রেণির সিট ২০০ টাকা।
এদিকে ঢাকা-কক্সবাজার-ঢাকা রুটে আরো একজোড়া নতুন ট্রেন পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। নতুন এ ট্রেনের রেক তৈরি করা হবে কোরিয়ান কোচ দিয়ে। আগামী ১ জানুয়ারি থেকে এটি শুরু করতে পারে। গতকাল বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের সহকারী চিফ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্ট মোহাম্মদ আবু বক্কর সিদ্দিকী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, পর্যটকদের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা-কক্সবাজার-ঢাকা রুটে সদ্য আমদানি করা কোরিয়ান কোচ দিয়ে আরো একজোড়া ননস্টপ আন্তঃনগর ট্রেন পরিচালনা করা যেতে পারে। নতুন এ ট্রেনের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে তিনটি। নামগুলো হচ্ছে- পালংকি এক্সপ্রেস, তরঙ্গ এক্সপ্রেস এবং প্রবাল এক্সপ্রেস। নতুন এ ট্রেনের নম্বর হবে ৮১৫ এবং ৮১৬। ট্রেনটি ৩২টি বগির ওপর ১৬টি কোচ নিয়ে চলবে। ট্রেনের আসন সংখ্যা হবে ৭৮০টি। রোববার থাকবে ট্রেনের সাপ্তাহিক বন্ধ। প্রস্তাবিত সময়সূচি অনুযায়ী ট্রেনটি (৮১৫) কক্সবাজার থেকে ছাড়বে রাত ৮টায়। চট্টগ্রাম পৌঁছাবে রাত ১০টা ৫০ মিনিটে এবং ছাড়বে ১১টা ১৫ মিনিটে। ট্রেনটি বিমানবন্দর স্টেশনে পৌঁছাবে রাত ৩টা ৫০ মিনিটে ও ছাড়বে ৩টা ৫৩ মিনিটে এবং ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছাবে রাত সাড়ে ৪টায়। অন্যদিকে ৮১৬ নাম্বার ট্রেনটি ঢাকা ছাড়বে ভোর ৬টা ১৫ মিনিটে। বিমানবন্দর স্টেশন পৌঁছাবে ভোর ৬টা ৩৮ মিনিটে এবং ছাড়বে ৬টা ৪৩ মিনিটে, চট্টগ্রাম স্টেশনে পৌঁছাবে বেলা ১১টা ২০ মিনিটে ও ছাড়বে ১১টা ৪০ মিনিটে এবং কক্সবাজার স্টেশনে পৌঁছাবে দুপুর ৩টায়।