নারী জাগরণ ও সমৃদ্ধতা বাংলাদেশ অনেক বেশি গুরুত্ব পেয়েছে তবুও প্রায়োগিক ও সংখ্যাতাত্ত্বিক উপায়ে নারীকে মূল ধারাকরণ করতে হবে। সরকারি-বেসরকারি চাকরি, মিডিয়া ও শিক্ষায় নারীর সমতা ও ন্যায্যতা নিশ্চিত করা জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম।
গতকাল ভারতের মালদাহের রাইগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় ও চাচোল কলেজের যৌথ উদ্যোগে ‘ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর সোশ্যাল সায়েন্স রিসার্চের (আইসিএসএসআর) অর্থায়ন এবং সার্বিক সহযোগিতায় ‘জেন্ডার ইকুয়ালিটি অ্যান্ড উইমেনস রাইট : এক্সপ্লোরিং উইমেন্স ভয়েস অ্যান্ড এক্সপেরিয়েন্স ইন সাউথ এশিয়া’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী এ আন্তর্জাতিক কনফারেন্সের মূল প্রবন্ধিকের বক্তব্যে তিনি এসব এসব কথা বলেন।
আলোচনায় সমাজবিজ্ঞানী সাদেকা হালিম উইমেন এমপাওয়ারমেন্ট ইন সাউথ এশিয়া : রাইটস অ্যান্ড জাস্টিস শিরোনামের মূল প্রবন্ধে দক্ষিণ এশিয়ার নারীর সমসাময়িক পরিস্থিতির সার্বিক রূপরেখা তুলে ধরেন। বাংলাদেশকে একটি কেস হিসেবে নিয়ে বিভিন্ন প্রায়োগিক ও সংখ্যাতাত্ত্বিক তথ্য-উপাত্তের মাধ্যমে বাংলাদেশের নারীর ক্ষমতায়ন, অধিকার এবং ন্যায্যতা ও সমতায় মূলস্রোতে নারীর মূল ধারাকরণের আলোকপাত করেন। এছাড়া রাজনৈতিক ক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি চাকরির ক্ষেত্রে, মিডিয়াতে, নারীর স্বক্ষমতায় উদ্যোগক্তার ক্ষেত্রে, শিক্ষায় নারীর ক্ষমতায়ন, সমতা ও ন্যয্যতা এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীর ক্ষমতায়নের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। একইসাথে বর্তমান সরকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গুরুত্বপূর্ণ কৃতিত্বের বিষয়টি আলোকপাত করেন ড. সাদেকা হালিম।
কনফারেন্সে দক্ষিন এশিয়ার স্বনামধন্য নারীবাদী ও মানবাধিকার স্কলারসদের প্রবন্ধে উঠে আসে বিভিন্ন টেকনিক্যাল সেশনে নারীদের প্রতি অসমতা, বৈষম্য ও লিঙ্গ বৈচিত্র্যময় জনগোষ্ঠীর অধস্তনা। এছাড়া দক্ষিণ এশিয়ায় নারীর অধিকার, সমতা, ন্যায্যতা ও নারীর ক্ষমতায়ণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন প্রবন্ধিকরা।
অনুষ্ঠানে ড. সাদেকা হালিম, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নারীর ক্ষমতায়নে সুদূরপ্রসারি চিন্তা এবং বীরাঙ্গনাদের মুক্তিযুদ্ধে অবদানের বিষয়টির উপরও একটি ঐতিহাসিক পর্যালোচনা প্রদান করেন।