ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাব পড়েছে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়েও। জেলা গতকাল সকাল থেকেই মেঘাচ্ছন্নের কুয়াশায় আবৃত থাকে। গত বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে এর প্রভাব আরো বেড়ে যায়। হালকা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ঝরেছে। এ কারণে শীতপ্রবণ এ জেলায় বিকাল থেকেই হিমেল হাওয়া বইতে থাকলে বিগত দিনের থেকে শীতের মাত্রা বেড়ে যায়। সন্ধ্যার পর শহর ও গ্রামের হাটবাজারের লোক সমাগম কম দেখা যায়। দিনের তাপমাত্রা কমলেও রাত থেকে গতকাল ভোর পর্যন্ত তাপমাত্রা বাড়ার রেকর্ড দেখা গেছে।
কতকাল শুক্রবার সকালে ৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। তবে ভোর ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত বৃহস্পতিবার এই সময়ে রেকর্ড হয়েছিল ১৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাতের রেকর্ড হয়েছে ০.৫ মিলিমিটার। আর বিকাল ৩টায় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ২৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা ৬ ডিসেম্বরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তার থেকে ৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে যাওয়ায় ঠান্ডা অনুভূত হয়েছে। আবহাওয়ার এ তথ্যটি জানিয়েছেন জেলার প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ।
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর থেকেই ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাবে মেঘ কুয়াচ্ছন্ন হয়ে পড়ে এ জেলার অনেক জায়গা। এতে করে শীতল আবহাওয়ার কারণে শীত অনুভূত থাকে। বিশেষ করে এ অঞ্চলে পৃথিবীর উচ্চতম হিমালয়-কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্বতশৃঙ্ঘ থাকায় শীতের অক্টোবরের শেষ থেকে শুরু হয় শীতের আমেজ। নভেম্বরের শুরু থেকে কমতে থাকে তাপমাত্রা। তাপমাত্রা কমার সাথে বাড়তে শুরু করেছে শীতের পরশ। দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকলেও বিকেল গড়লেই হিমেল হাওয়ায় শীতের পরশ অনুভূত হয়। সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত বইতে থাকে শীতের প্রকোপ। ভোরে দেখা মেলে কুয়াশার চাদরে জড়িয়েছে প্রকৃতি। সে কুয়াশায় ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। শীত ঘিরে বেড়েছে শীতের পোশাকের চাহিদা।
এদিকে শীত ঘিরে বেড়েছে নানা শীতজনিত রোগ। এসব রোগব্যাধি থেকে সুরক্ষিত থাকতে চিকিৎসকরা শীতে রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহ জানান, ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাবের কারণেই দিনের তাপমাত্রা কমেছে। তবে বৃহস্পতিবারের চেয়ে তাপমাত্রা বেড়েছে। গতকাল সকালে ১৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। যা আগের দিন রেকর্ড করা হয়েছিল ১৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি তাপমাত্রা। বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে ০.৫ মিলিমিটার। দিনের তাপমাত্রা কমেছে। গতকাল দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ২৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সামনে তাপমাত্রা আরো কমে আসবে বলে তিনি জানান।