দাম ভালো থাকায় কৃষকের হাসি
সিরাজগঞ্জে আগাম ক্ষিরা ও শসার বাম্পার ফলন
প্রকাশ : ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
স্টাফ রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জ
সিরাজগঞ্জে এবার চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন স্থানে আগাম মৌসুমি ক্ষিরা ও শসা চাষাবাদের বাম্পার ফলন হয়েছে। হাট-বাজারে এ ক্ষিরা-শসার এখন দাম ভালো থাকায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, চরাঞ্চলসহ জেলার ৯টি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সাড়ে ৭০০ হেক্টর জমিতে মৌসুমি আগাম ক্ষিরা শসা চাষাবাদ করেছে কৃষকরা। এরইমধ্যে স্থানীয় হাট-বাজারে এই ক্ষিরা-শসা উঠছে এবং পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতার ভিড় জমে উঠেছে। এ জেলার বিভিন্ন স্থানে ক্ষিরা-শসার আড়ত গড়ে উঠেছে। বিশেষ করে তাড়াশ, উল্লাপাড়া ও শাহজাদপুর উপজেলার অনেক স্থানে এই ক্ষিরা শসার আড়ত গড়ে উঠেছে। এসব আড়ত ও হাট-বাজার থেকে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে এই ক্ষিরা-শসা সরবরাহ করছে ব্যবসায়ীরা। প্রতি মণ ক্ষিরা ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকায় এবং শসা ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। স্বল্প খরচে এ চাষাবাদে দাম ভালো পাওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ, তাড়াশ, কাজিপুর, উল্লাপাড়া, চৌহালী, শাহজাদপুর, বেলকুচি, রায়গঞ্জ ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এই ক্ষিরা চাষাবাদ করা হয়েছে। তবে যমুনা নদীর তীরবর্তী ৫টি উপজেলার চরাঞ্চলে এই ক্ষিরা ও শসা চাষাবাদে বাম্পার ফলন হয়েছে। কয়েক সপ্তাহ ধরে কৃষকরা এই ক্ষিরা-শসা হাট-বাজারে বিক্রি শুরু করছে। এ ক্ষিরা-শসা তোলায় এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক-কৃষানিরা। স্থানীয় কৃষকরা জানান, প্রতি বিঘা জমিতে ক্ষীরা ও শসা চাষ করতে প্রায় ১৭ থেকে ১৯ হাজার টাকা খরচ হয়। আর এক বিঘা জমি থেকে উৎপাদিত ক্ষীরা বিক্রি হয় ২৯ থেকে ৩০ হাজার টাকায়। এ আবাদে পোকা-মাকড়ের আক্রমণ কম। এজন্য কৃষকরা এ লাভজনক ক্ষিরা-শসা চাষে আগ্রহী বেশি। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, জেলার বিভিন্ন স্থানে প্রতি বছরের ন্যায় এবারো আগাম ক্ষিরা ও শসা চাষাবাদ করা হয়েছে। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর দোআশ বালু জমিতে কৃষকরা এ চাষাবাদ করেন। এ বিষয়ে জেলা কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক বাবলু কুমার সূত্রধর আলোকিত বাংলাদেশকে জানান, এবার শীত মৌসুমে জেলায় সাড়ে ৭০০ হেক্টর জমিতে আগাম ক্ষিরা ও শসা চাষাবাদ হয়েছে। সংশ্লিষ্ট উপজেলা কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা স্থানীয় কৃষকদের এই চাষাবাদে পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করছেন। এ কারণে ক্ষিরা-শসা চাষাবাদে এবার বাম্পার ফলন হয়েছে। হাট-বাজারে এখন দাম ভালো থাকায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।