শিক্ষিকা-ছাত্রের অসম প্রেম
বিচ্ছেদের পর কুষ্টিয়ায় ছাত্রের আত্মহত্যা
প্রকাশ : ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে শিক্ষিকা-ছাত্রের সঙ্গে অসম প্রেম, অতপর; প্রেমবিচ্ছেদের পর সাগর চন্দ্র বিশ্বাস (২২) নামে এক ছাত্র আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
কুমারখালী থানা পুলিশ গত শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে পৌরসভার সেরকান্দি এলাকার ভাড়া বাড়ি থেকে ওই ছাত্রের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। আত্মহত্যাকারী ওই ছাত্রের পরিবারের দাবি, শিক্ষিকার সঙ্গে দীর্ঘ প্রেমে ব্যর্থ হয়ে সাগর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। মৃত সাগর চন্দ্র বিশ্বাস কুমারখালী উপজেলার সদকী ইউনিয়নের দড়ি মালিয়াট গ্রামের মনোরঞ্জন বিশ্বাসের ছেলে। সাগর কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের চতুর্থ সেমিস্টারের ছাত্র ছিলেন।
সাগরের মা জানান, কুষ্টিয়ার একটি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের এক শিক্ষিকার সঙ্গে আমার ছেলের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বনিবনা না হওয়ায় সম্প্রতি সে সম্পর্ক ভেঙে যায়। বিষয়টি মেনে নিতে না পেরে সাগর মানসিক রোগীদেও মতো হয়ে যান। সেজন্য কয়েকবার সাগরের কলেজে গিয়ে ম্যাডামকে অনুরোধ করে সম্পর্ক ঠিক করার চেষ্টা করে। কিন্তু কোনো ফল হয়নি। তিনি আরো বলেন, ঘুমের ওষুধ খাওয়ার কারণে সাগর প্রতিদিন বিকালে ঘুম থেকে উঠত। গত শুক্রবার বিকালে ঘুম থেকে না উঠলে আমি প্রথমে ডাকাডাকি করি। সাগরের মোবাইল ফোনে কল দিয়ে ঘুম ভাঙানোর চেষ্টা করি।
তাতেও সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে দেখি সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় সাগর ঝুলছে। ম্যাডামের সঙ্গে প্রেমের বিচ্ছেদ সইতে না পেরে সাগর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। সাগরের কয়েকজন বন্ধু বলেন, আমাদের এক শিক্ষিকার সঙ্গে সাগরের গভীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ফেসবুকে দুজনের ছবিও পোস্ট দেওয়া হতো। কয়েক মাস আগে তাদের সম্পর্কের অবনতি হলে সাগর ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ খেয়েই সাগর মানসিক রোগী হয়ে গিয়েছিল। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য ওই শিক্ষিকার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি। ওই পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের কয়েকজন শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন, এ বিষয়ে কিছু জানি না। কুমারখালী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকিবুল ইসলাম বলেন, কলেজছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের কুষ্টিয়া সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।