কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলে সমন্বিতভাবে শাকসবজি চাষে পাল্টে যাচ্ছে নদ-নদী তীরবর্তী চরের মানুষের জীবন ও জীবিকা। বন্যাকালীন সবজি উৎপাদন যেন অব্যাহত থাকে এজন্য কমিউনিটি ভিত্তিক সবজি ও বস্তায় আদা চাষে উদ্বুদ্ধ করছে কৃষি বিভাগ। কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলায় শাকসবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ হাজার হেক্টর জমিতে। এখন পর্যন্ত অর্জিত হয়েছে প্রায় ৪ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে। এখনো শাকসবজি চাষ চলমান রয়েছে। প্রতি বছর বন্যা ও নদী ভাঙনের কবলে পড়ে অসংখ্য পরিবার গৃহহীন হয় কুড়িগ্রাম জেলায়। বিনষ্ট হয় চরের মানুষের ফসল। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় কৃষিনির্ভর পরিবারগুলো, যার কারণে তারা এখন উন্নত পদ্ধতিতে করছেন চাষাবাদ। তেমনি একজন সমন্বিতভাবে শাকসবজি চাষি কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার তেথরাই ইউনিয়নের গোড়াই পিয়ার কুমার পাড়া এলাকার সাফিউল ইসলাম। তিনি মাত্র চার শতক জমিতে সমন্বিতভাবে শাকসবজি চাষ করে ব্যাপক লাভবান হয়েছেন। সামিউল ইসলাম বলেন, আমার ৪ শতক জমিতে গাছ লাগিয়েছি। এইটুকু জমিতে আবার পাশাপাশি লালশাক, কলমি শাক, মিষ্টি কুমড়া ও রসুন রোপণ করেছি। এখানে লালশাক রোপণে আমাদের মাত্র ১৫০ টাকা খরচ হয়েছে। এ পর্যন্ত ১ হাজার টাকার শাক বিক্রি করেছি। আরো দেড় হাজার টাকার শাক বিক্রি করব বলে আশা করছি। এভাবে ঠিকমতো যদি শাকসবজি চাষ করা যায়, তাহলে অনেক লাভ। উলিপুর উপজেলার দলদলিয়া ইউনিয়নের কদমেরতল এলাকার কৃষক আব্দুল মান্নান বলেন, আমি আমার ৮ শতক জমিতে বিভিন্ন প্রকার শাক আবাদ করেছি। ফলন অনেক ভালো হয়েছে। আশা করছি ভালোই লাভবান হতে পারব। কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিপ্লব কুমার মোহন্ত জানান, চরাঞ্চলের মানুষের সমন্বিত কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধিতে কৃষি বিভাগের প্রশিক্ষণসহ সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে।