এনআইডি কার্ড যার টিকিট তার, তবে এনআইডি কার্ড এবং মোবাইল নম্বর দিয়ে টিকিট প্রাপ্তির জন্য রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এক থেকে চারটি টিকিট এনআইডি কার্ড, মোবাইল নম্বর দিয়ে কাউন্টার অথবা অনলাইনে আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট একজন চারটি টিকিট কাটতে পারবে, এমন বিধান রেখে ট্রেনের টিকিট দেওয়া হয়। কিন্তু টিকিট কালোবাজারিরা বেছে নিয়েছে অভিনব কৌশল। এনআইডি কার্ড, মোবাইল নম্বর দিয়ে একটি প্রাপ্ত বয়স্ক, তিনটি অপ্রাপ্ত বয়স্ক অর্থাৎ এক এনআইডি নম্বর, মোবাইল নম্বর দিয়ে মোট চারটি টিকিট কেটে নিচ্ছে টিকিট কালোবাজারিরা। পরবর্তীতে কম্পিউটারের দোকানে গিয়ে অপ্রাপ্ত বয়স্ক টিকিটগুলো, অন্য নামীয় এনআইডি নম্বর, মোবাইল নম্বর, প্রাপ্ত বয়স্ক টিকিটের মূল্য বসিয়ে অনলাইনের টিকিটগুলো উচ্চ মূল্যে বিক্রয় করছে প্রকাশ্যে ঢাকঢোল পিটিয়ে বীরদর্পে, রেলওয়ে স্টেশন চত্বর ও বাহিরে। স্টেশন টিকিট কাউন্টার এবং অনলাইনে টিকিট না পাওয়ায় যাত্রী সাধারণকে বাধ্য হয়েই অধিক থেকে অধিক মূল্যে টিকিট কিনতে হচ্ছে চিহ্নিত কালোবাজারিদের কাছ থেকে। অপরদিকে রেলওয়ে একটি সূত্র জানায়, দিনাজপুর রেলওয়ে স্টেশন প্রশাসন বিষয়গুলো জানেন, তবে আজও পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেননি তারা। আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট কাউন্টারের সার্ভার থেকে টিকিটগুলো চেক করলেই বোঝা যাবে কোন নামীয় টিকিট কিনেছেন, এক এনআইডি কার্ড দিয়ে কয়টি টিকিট কাটা হয়েছে এর মধ্যে, প্রাপ্ত বয়স্ক কয়টি, অপ্রাপ্ত বয়স্ক কয়টি। ট্রেনের ভেতর যাত্রীদের টিকিট চেকিংয়ের সময় (পি ও এস ডিভাইস) মেশিন দিয়ে চেকিং করলেই বেরিয়ে আসবে টিকিটটি কার নামীয়, প্রাপ্ত, নাকি অপ্রাপ্ত বয়স্ক, অথবা নির্দিষ্ট ব্যক্তি ছাড়া বাকি টিকিটগুলো টিকিট কালোবাজারিদের কাছ থেকেই নেওয়া হয়েছে তা প্রমাণ হয়ে যাবে, অপরদিকে বিপুল রাজস্ব আদায় হবে।
কিন্তু মেশিন দিয়ে ট্রেনের যাত্রীদের নিকট বগিতে টিকিট চেকিং করা হয় না। ফলে বেড়েই চলেছে টিকিট কালোবাজারিদের দৌরাত্ম্য, এতে করে বিপুল রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। এ ব্যাপারে দিনাজপুর রেলওয়ে স্টেশন সুপারিনটেনডেন্ট (এসএস) এবিএম জিয়াউর রহমান বলেন, সরকারি নিয়ম রেলওয়ে ম্যানুয়েল অনুযায়ী আমরা টিকিট বিক্রয় করছি, বিষয়টি আমাদের জানা ছিল না যে, টিকিট কালোবাজারিরা এ রকম পন্থা অবলম্বন করেছে, অবশ্যই আমরা এর ব্যবস্থা গ্রহণ করব।