ভাঙনের কবলে আবাদি জমি
সিরাজগঞ্জে ফুলজোড় নদীতে থামছেই না বালু উত্তোলন!
প্রকাশ : ১১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
স্টাফ রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জ
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার ফুলজোড় নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন থামছেই না! এ নদীর বিভিন্ন স্থানে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে কৃষকদের আবাদি জমি ভাঙনের কবলে পড়ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ফুলজোড় নদী এলাকায় সরকারি বালুমহাল না থাকলেও নদীর ড্রেজার মেশিন দিয়ে কতিপয় প্রভাবশালী অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে দীর্ঘদিন ধরে। সংশ্লিষ্ট প্রশাসন একাধিকবার এ নদী এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালালেও অবৈধভাবে এ বালু উত্তোলন থামছেই না। এ কারণে নদী তীরবর্তী আবাদি জমি ভাঙনের কবলে পড়ছে। বিশেষ করে ওই নদীর তীরবর্তী সাহেবগঞ্জ বাজার এলাকার উত্তর পাশে উত্তোলিত এ বালু সরাসরি পাইপের মাধ্যমে নিয়ে গোলচত্বর এলাকায় মাটি ভরাট কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে এবং ওই বাজারের দক্ষিণ পাশে ও ঘুড়কা বাজার এলাকায় বালু উত্তোলন করে অবাধে বিক্রি করা হচ্ছে। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এ কাজে জড়িত অনেক শ্রমিক বলছেন, ওই নদী থেকে বালু উত্তোলনে বৈধ-অবৈধ কিছু জানি না। ড্রেজার মালিকরা দিনমজুর হিসেবে আমাদের আনা হয়েছে। স্থানীয় কৃষকরা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে নদীতে ড্রেজার বসিয়ে দিনরাত অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। প্রভাবশালীরা এখন এ বালু বিক্রি করে কোটি কোটি টাকার মালিক হচ্ছে। আর নদী তীরের আবাদি জমি ভেঙে নদীতে ধসে যাচ্ছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন মাঝেমধ্যে ব্যবস্থা নিলেও থামছেই না অবৈধভাবে এ বালু উত্তোলন। স্থানীয় প্রভাবশালী একজন ইউপি চেয়ারম্যানও এ কাজে জড়িত রয়েছে। এজন্য ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকরা ওই প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতেও সাহস পাচ্ছে না। এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলা প্রশাসনের একজন কর্মকর্তা বলছেন, ফুলজোড় নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় একাধিক ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে জরিমানা করা হয়েছে। কয়েক মাস আগে জড়িতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় জিডিও করা হলেও অবৈধভাবে বালু উত্তোলন থামছেই না। তারা প্রভাবশালীর কারণে আইন-কানুনও মানছে না। তবে শিগগিরই আবারো ওই নদীতে বালু উত্তোলন বন্ধে অভিযান চালানো হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।