চাঁদপুরে আলু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা এক লাখ ৮০ হাজার মেট্রিক টন

চাষ হচ্ছে সাড়ে ৭ হাজার হেক্টর জমিতে

প্রকাশ : ১২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  শওকত আলী, চাঁদপুর

চলতি রবি মৌসুমে চাঁদপুরে সাড়ে ৭ হাজার হেক্টর জমিতে ১ লাখ ৮০ হাজার মেট্রিক টন আলু উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আলু উৎপাদনে চাঁদপুর দেশের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। মুন্সীগঞ্জের পরই চাঁদপুর জেলা রয়েছে উৎপাদনের তুলনামূলক হিসাবের তালিকায়। এ বছর ৭ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ জেলা একটি নদীবিধৌত কৃষিভিক্তিক অঞ্চল হওয়ায় কৃষকরা সময়মতো চাষাবাদ, বীজ বপন ও সঠিক পরিচর্যায় পারদর্শী বলে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে।

উপজেলাওয়ারী দেখা যায়, চাঁদপুর সদরে এবার আলু চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা ১ হাজার ৬০০ হেক্টর ও উৎপাদন ৩৮ হাজার ৪০০ মেট্রিক টন। মতলব উত্তরে ৬৬৫ হেক্টর ও উৎপাদন ১৮ হাজার ৩৬০ মেট্রিক টন। মতলব দক্ষিণে চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা ২ হাজার ১৫০ হেক্টর ও উৎপাদন ৫১ হাজার ৬ মেট্রিক টন, হাজীগঞ্জে চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা ৫৮৫ হেক্টর ও উৎপাদন ১৪ হাজার ১০০ মেট্রিক টন, শাহরাস্তিতে চাষাবাদ লক্ষ্যমাত্রা ৭০ হেক্টর ও উৎপাদন ১ হাজার ৬৮০ মেট্রিক টন এবং কচুয়ায় চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা ২ হাজার ৫০ হেক্টর ও উৎপাদন ৪৯ হাজার ২০০ মেট্রিক টন, ফরিদগঞ্জে চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা ১২০ হেক্টর ও উৎপাদন ২ হাজার ৮৮০ মেট্রিক টন এবং হাইমচরে চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা ১৬০ হেক্টর ও উৎপাদন ৩ হাজার ৮৪০ মেট্রিক টন। এসব আলু দুই থেকে আড়াই মাস পর জমি থেকে উঠানো হবে।

এদিকে ব্যাংকগুলো যথারীতি ফসলি ঋণ প্রদান করে কৃষিপণ্য উৎপাদনে ব্যাপক সহায়তা দিচ্ছে। জেলার আট উপজেলায় আলুর চাষাবাদ ও উৎপাদনে বিভিন্ন জাতের আলু চাষাবাদ করে থাকে এ অঞ্চলের কৃষকরা। কম-বেশি সব উপজেলায়ই আলুর ফলন ও চাষাবাদ হয়ে থাকে। বিগত ক’বছর ধরেই চাঁদপুরে ব্যাপক আলু উৎপাদন হচ্ছে।

কৃষকরা জানান, তারা লাঙ্গলের পরিবর্তে ট্রাক্টর, হোচার পরিবর্তে বিদ্যুৎচালিত স্যালো সেচ, উন্নত বীজ, পরিমিত কীটনাশক, নতুন নতুন জাতের উদ্ভাবন ও প্রযুক্তির ব্যবহার করছে। আশা করা হচ্ছে আবহাওয়ার অনুকূল পরিবেশে থাকলে আলুর বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। চাঁদপুরে ১২টি হিমাগারে ৭০ হাজার মেট্রিক টন আলু সংরক্ষণ করার ধারণ ক্ষমতা রয়েছে। বাকি আলু হিমাগারের বাহিরে রাখা হয়ে থাকে। এর মধ্যে কিছু পরিমাণ আলু উৎপাদন মৌসুমে বিক্রি করা হয়ে থাকে। অবশিষ্ট আলু কৃষি বিভাগের পরামর্শে কৃত্রিমভাবে মাচায় সংরক্ষণ করা হয়। চাঁদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপসহকারী কৃষি অফিসার মোঃ মোবারক হোসেন জানান, চাঁদপুরে এবারও ব্যাপক আলুর চাষ হয়েছে। আশা করি উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী হবে।