রাজনৈতিক দল হিসেবে রেজা কিবরিয়ার গণঅধিকার পরিষদকে কেন নিবন্ধন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
এ সংক্রান্ত বিষয়ে দায়ের করা রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গতকাল বিচারপতি কেএম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত একটি বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
নির্বাচন কমিশনকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী একলাস উদ্দিন ভূঁইয়া। ইসির পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মো. আনিছুজ্জামান। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান।
গত ১১ নভেম্বর রাজনৈতিক দল হিসেবে গণঅধিকার পরিষদকে নিবন্ধন না দেওয়ার সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন দায়ের করেন রেজা কিবরিয়া। হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রেজা কিবরিয়ার পক্ষের আইনজীবী একলাছ উদ্দিন ভূইয়া এই রিট করেন। রিটে নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়।
গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক উল্লেখ করে গত ২৯ আগস্ট ড. রেজা কিবরিয়াকে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নিবন্ধন না দেওয়ার সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিটে নিয়োগ নিবন্ধন দিতে ও রুল জারির নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। গণঅধিকার পরিষদকে নিবন্ধন না দেওয়ার কারণ জানিয়ে গত ২৯ আগস্ট ড. রেজা কিবরিয়াকে ইসির উপ-সচিব মো. আব্দুল হালিম খান স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়- ‘মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা ও উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি কর্তৃক প্রেরিত তদন্ত প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় ও জেলা পর্যায়ের শর্ত প্রতিপালিত হয়েছে। তবে, দলটির সরবরাহকৃত ১৪১টি উপজেলা/থানা পর্যায়ের তথ্য যাচাই করে মাত্র ৬৩টি জায়গায় দলটির নিবন্ধনের শর্ত প্রতিপালনের তথ্য সঠিক পাওয়া যায়।
অবশিষ্ট ৭৮টি উপজেলা/থানা অফিস এবং নির্ধারিতসংখ্যক ভোটার সদস্য থাকার তথ্য অর্থাৎ নিবন্ধনের শর্ত প্রতিপালনের তথ্য সঠিক পাওয়া যায়নি। দলটি কর্তৃক নিবন্ধনের শর্ত যথাযথভাবে প্রতিপালিত না হওয়ায় নির্বাচন কমিশনের নিকট দলটি নিবন্ধনযোগ্য বিবেচিত হয়নি। এ অবস্থায়, রাজনৈতিক দল নিবন্ধন বিধিমালা, ২০০৮ এর বিধি-৭ এর উপ-বিধি (৬) অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন গণঅধিকার পরিষদ নামীয় দলের আবেদন না-মঞ্জুরপূর্বক নিষ্পত্তি করেছেন।