জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উদ্বোধন করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। গতকাল দুপুর ১২টায় রাজধানীর মহাখালীর নিপসম অডিটোরিয়ামে মন্ত্রী এ ক্যাম্পেইন উদ্বোধন করেন। এ সময় মন্ত্রী বলেন, ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল শিশুদের রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে। এই ক্যাপসুল খাওয়ার ফলে শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, শারীরিক বৃদ্ধি হয়, খর্বাকায় কমে যায়, বিভিন্ন সংক্রামক রোগ কমে যায়। আপনারা শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ান, কেউ কোনো গুজবে কান দেবেন না।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- স্বাস্থ্যশিক্ষা বিভাগের সচিব আজিজুর রহমাম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার খুরশিদ আলম, স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. টিটো মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহিমেদুল কবির প্রমুখ।
ক্যাম্পেইনের আওতায় গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত সারা দেশে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সি শিশুদের নীল রঙের এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সি শিশুদের একটি করে লাল রঙের ক্যাপুসল খাওয়ানো হয়। দুর্গম অঞ্চল এবং বাদপড়া শিশুদের জন্য এ ক্যাম্পেইন চার দিন চলবে।
এ অভিযানে ২ কোটি ৫৮ লাখের বেশি শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নেয়া হয়। এ কর্মসূচির আওতায় ৬ থেকে ১১ মাস বয়সি ২৭ লাখ ৮৭ হাজার ৫০০ জন শিশুকে নীল রঙের ‘এ প্লাস’ এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সি ২ কোটি ৩০ লাখ ২ হাজার শিশুকে লাল রঙের একটি করে ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়। দিনব্যাপী কর্মসূচিতে দেশের সব সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং ভ্রাম্যমাণ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে শিশুদের এই ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়।
দেশজুড়ে ১ লাখ ২০ হাজার কেন্দ্রে ২ লাখ ৪০ হাজার স্বাস্থ্যসেবাকর্মী এবং ৪০ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী ভিটামিন শিশুদের ক্যাপসুল খাওয়ানোর কাজে অংশ নেন। ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন চলাকালে এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর পাশাপাশি জন্মের পরপর নবজাতককে শালদুধ খাওয়ানো, ৬ মাস পর্যন্ত শিশুকে শুধু মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানো; শিশুর ৬ মাস পূর্ণ হলে মায়ের দুধের পাশাপাশি পরিমাণমতো ঘরে তৈরি সুষম খাবার খাওয়ানোর বার্তাও প্রচার করা হয় বলেও অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে।