চাঁদপুর নৌ-সীমানায় মেঘনায় ঘন কুয়াশা

চারটি লঞ্চের পৃথক সংঘর্ষ যুবক নিহত : আহত ২৫

প্রকাশ : ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  চাঁদপুর প্রতিনিধি

চাঁদপুর নৌ-সীমানায় ঘন কুয়াশার কবলে পড়ে চারটি যাত্রীবাহী লঞ্চের মধ্যে পৃথক দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এদিকে ঢাকাগামী দুটি লঞ্চের মধ্যে হঠৎ গভীর রাতে সংঘর্ষের ঘটনায় মোহাম্মদ সোহেল হোসেন ফরাজী (৩৫) নামক একজন যুবক নিহত হয়েছেন। নিহত যুবক ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার আমিনাবাদ ইউনিয়নের ওসমান আলি ফরাজি বাড়ির বাসিন্দা সেলিম ফরাজির ছেলে। এ দুটি লঞ্চের সংঘর্ষের ঘটনায় কমপক্ষে ২৫ যাত্রী আহত হয়েছেন।

গত সোমবার দিবাগত রাত ১টায় চাঁদপুর নৌ এলাকার হাইমচর উপজেলার চর ভৈরবী এলাকায় মেঘনা নদীতে লঞ্চ এমভি সুরভী-৮ লঞ্চের সঙ্গে টিপু-১৪ লঞ্চের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় একজন নিহত হন এবং কমপক্ষে ১০ যাত্রী আহত হয়েছেন। এছাড়া মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুর এলাকায় ঘন কুয়াশার কবলে পড়ে চাঁদপুরগামী এমভি০০০-৭ ও পটুয়াখালী থেকে ঢাকাগামী এমভি এআর খান-১ লঞ্চের মধ্যে ধাক্কা লেগে০০০ লঞ্চের পাশে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই ঘটনায় লঞ্চের কমপক্ষে ১৫ যাত্রী মারাত্মকভাবে আহত হন।

গত সোমবার দিনগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে মেঘনা নদীর মোহনপুর নামক স্থানে।

বিষয়টি গতকাল নিশ্চিত করেছেন চাঁদপুরের বন্দর কর্মকর্তা মোঃ শাহাদাত হোসেন ও চাঁদপুর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিদর্শক শাহ্ আলম। তিনি বলেন,০০০ লঞ্চটি ধাক্কা লেগে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

চাঁদপুর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপ-পরিচালক মো. বশির আলী খান বলেন, সুরভী-৮ ও টিপু-১৪ নামক লঞ্চের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক যাত্রী নিহত হয়েছেন বলে আমরা জানতে পেরেছি।

এম.ভি সুরভী-৮ লঞ্চের কর্মচারী রাসেল বলেন, গত সোমাবার রাতে টিপু-১৪ লঞ্চটি আমাদের লঞ্চকে ধাক্কা দেয়। এতে লঞ্চটির কেবিনের পেছনের অংশ ভেঙে যায়। এ ঘটনায় আমাদের লঞ্চে থাকা সোহেল নামে এক ব্যক্তি আহত হন। পরে তিনি মারা যান।

এ বিষয়ে হাইমচরের নীলকমল নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন খান বলেন, ৯৯৯ নম্বরে এম.ভি সুরভী-৮ লঞ্চ থেকে আমাদের ফোন করা হয়। একটি অজ্ঞাতনামা লঞ্চ তাদের লঞ্চটি ধাক্কা দিয়ে চলে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়া জন্য তাদের ফোন করলে তারা জানায় এম.ভি সুরভী-৮ লঞ্চটি ঘটনাস্থল ত্যাগ করে ঢাকার উদ্দেশে চলে গেছে। তবে একজনের মৃত্যুর বিষয়টি আমরা জানতে পেরেছি।

এদিকে গতকাল দুপুরে ঘন কুয়াশার কারণে লঞ্চ দুর্ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় উপ-পরিচালক মো. বশির আলী খান চাঁদপুর লঞ্চঘাটে অবস্থানরত লঞ্চ চালক ও মাস্টারদের একত্রিত করে সচেতনতামূলক দিকনির্দেশনা দেন। তিনি তাদের ঘন কুয়াশার মধ্যে লঞ্চ থামিয়ে রাখা এবং কোনোভাবেই যাতে চলাচল না করার বিষয়ে কঠোর নির্দেশনা দেন।

ভোলা বন্দর কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানান, গত সোমবার সন্ধ্যা ৬টা সদর ঘাট থেকে ছেড়ে আসে টিপু-১৪ লঞ্চটি। রাত সাড়ে ১০টায় ভোলা ছাড়ে ঢাকাগামী লঞ্চ এমভি সুরভী-৮। চাঁদপুরের হাইমচরে টিপু-১৪ লঞ্চটি সুরভী-৮ লঞ্চটিকে ধাক্কায় দেয়। এ ঘটনায় এক যাত্রী আহত হন। পরে তার মৃত্যু হয়েছে।

চাঁদপুর বন্দর কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন বলেন, ঘনকুয়াশার কারণে চাঁদপুর হয়ে ঢাকা-পটুয়াখালী নৌপথে চলাচলকারী এমভি এআর খান-১ এবং ঢাকা-চাঁদপুর নৌপথে চলাচলকারী এমভি রফরফ-৭ লঞ্চের মধ্যে মধ্য রাত সাড়ে ৩টায় মোহনপুরে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে রফরফ-৭ লঞ্চের দোতলার টেক্সিন ভেঙে যায়।