অবাধ-সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচনের জন্য যেসব ব্যবস্থা নেওয়া দরকার, পুলিশ এরই মধ্যে সব ব্যবস্থা নিয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
গতকাল দুপুরে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে বাংলাদেশ পুলিশ ব্লাড ব্যাংকের ১৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
আইজিপি বলেন, ‘বাংলাদেশ পুলিশ দেড়শ বছরের পুরোনো একটি প্রতিষ্ঠান। আমরা এরই মধ্যে অনেক নির্বাচনি দায়িত্ব পালন করে আসছি। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের জন্যও পুলিশ সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে। নির্বাচন উপলক্ষ্যে যেসব ব্যবস্থা নেওয়া দরকার, আমাদের সব ধরনের প্রশিক্ষণ আছে, লজিস্টিকস ও ইক্যুইপমেন্টও আছে। আমরা আমাদের সব জনবল নিয়ে প্রস্তুত আছি। এরই মধ্যে আমরা নির্বাচন পূর্ববর্তী, নির্বাচনকালীন ও নির্বাচন-পরবর্তী বিশেষ পরিকল্পনা নিয়েছি। তপশিল ঘোষণার পর আমরা নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছি। নির্বাচন কমিশন থেকে আমাদের যেসব দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে, আমরা পালন করছি। অবাধ-সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর পরিবেশে জনগণকে নির্বাচন উপহার দেওয়ার জন্য যেসব ব্যবস্থা নেওয়া দরকার, আমরা সব ব্যবস্থা নিয়েছি। সফলভাবে ইতোপূর্বে আমরা অনেক নির্বাচন সম্পন্ন করেছি, আগামীকেও যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সফল নির্বাচন আয়োজনের জন্য আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যেকোনো ধরনের নাশকতামূলক কার্যক্রমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার জন্য আমাদের গোয়েন্দাভিত্তিক অপারেশন পরিচালিত হচ্ছে। আপনারা জানেন বিচ্ছিন্নভাবে বিভিন্ন স্থানে নাশকতা করা হচ্ছে। পুলিশের যে সক্ষমতা আছে নাশকতাকারীদের সামনে দাঁড়ানোর সাহস আছে বলে মনে করি না। আমাদের সেই সামর্থ্য ও সাহস আছে। যেকোনো নাশকতা মোকাবিলা করে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের জন্য পুলিশ প্রস্তুত আছে।
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা নির্বাচন কমিশন থেকে সন্ত্রাসী ও অস্ত্রধারীদের তালিকা পাইনি, তবে তাদের গ্রেপ্তারের নির্দেশনা পেয়েছি। সন্ত্রাসী-অস্ত্রধারীদের বিরুদ্ধে অভিযানোর আমরা সবসময়ই করি, এখনো করছি। প্রতিনিয়ত তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।