আজ থেকে চালু হচ্ছে ঢাবি ও বিজয় সরণি মেট্রোরেলের স্টেশন

প্রকাশ : ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

মেট্রোরেলের আরো দুটি স্টেশন চালু হতে যাচ্ছে আজ। আজ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বিজয় সরণি স্টেশন থেকে যাত্রী ওঠানামা করতে পারবে।

‘আগারগাঁও-মতিঝিলের মধ্যে মেট্রোরেল চালুর সময় পরবর্তী তিন মাসের মধ্যে সব স্টেশন চালু করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। এরই ধারাবাহিকতায় এই দুটি নতুন স্টেশন চালু হচ্ছে। আজ থেকে এই দুটি স্টেশনে ট্রেনগুলো যাওয়া এবং আসার পথে যাত্রাবিরতি দেবে। তবে আগারগাঁও-মতিঝিল অংশে ট্রেন চলাচলের সময়সূচিতে আপাতত কোনো পরিবর্তন আসছে না। এরপর আরো দুটি স্টেশন চালু করা বাকি থাকবে। এগুলো হচ্ছে কারওয়ান বাজার, আরেকটি শাহবাগ। এ দুটি স্টেশন চালুর পর উত্তর থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ১৬টি স্টেশনের সবগুলো চালু হবে। তখন পুরোদমে মেট্রোরেল চলাচল করতে পারবে।

উত্তরা-মতিঝিল-কমলাপুরের মধ্যে নির্মাণাধীন মেট্রোরেল লাইন-৬ এর উত্তরা-আগারগাঁও অংশ গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চলাচল শুরু হয় পরদিন থেকে। বর্তমানে সকাল ৮টা থেকে রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত এ অংশে ট্রেন চলাচল করছে। অন্যদিকে আগারগাঁও-মতিঝিল অংশ গত ৪ নভেম্বর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বর্তমানে এ অংশে সকাল ৮টা থেকে দুপুর সোয়া ১২টা পর্যন্ত ট্রেন চলাচল করছে। মতিঝিল ও আগারগাঁওয়ের পাশাপাশি ট্রেনগুলো যাত্রাবিরতি দিচ্ছে ফার্মগেট স্টেশনে। মতিঝিল পর্যন্ত ট্রেন চলাচল শুরুর পর থেকে যাত্রীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। মেট্রোরেলের এই লাইন কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। এই অংশের নির্মাণকাজের অগ্রগতি ২০ দশমিক ৫ শতাংশ। ২০২৫ সালের জুন মাসের মধ্যে উত্তরা থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ট্রেন চলাচল শুরুর লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। টিএসসিতে মেট্রোরেল স্টেশন চালু হওয়ায় আনন্দ ও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা। মেট্রোরেলের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন তারা। তবে মেট্রোরেলে শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ ভাড়ার দাবি জানানো হয়েছে। মেট্রোরেল নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বলছেন, ‘মেট্রোরেল একটা স্বপ্নের জায়গা। একটি দেশের উন্নয়ন ব্যবস্থা দৃশ্যমান হয় যখন তাদের যাতায়াত ব্যবস্থা দৃশ্যমান হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মচারীদের জন্য যাতায়াত ব্যবস্থা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেকেরই সকাল ৮টায় ক্লাস থাকে। এ কারণে কেউ উত্তরা থেকে রওনা দিলেও অল্প সময়ের মধ্যে এসে ক্লাস ধরতে পারবে। আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের একটি সুন্দর উদাহরণ মেট্রোরেল। টিএসসিতে মেট্রোরেল সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য আশীর্বাদ। বিশেষ করে যারা অনাবাসিক ছাত্র, তাদের জন্য অনেক সুবিধা হয়েছে। এর আওয়াতাভুক্ত এলাকাগুলোতে যে কোনো প্রয়োজনে এখন খুব দ্রুত যেতে পারব। তারা বলেন, ‘টিএসসির মেট্রোরেল স্টেশন শিক্ষার্থীদের জন্য একটি নতুন যুগের সূচনা করেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ মিরপুর, উত্তরা থেকে পড়তে আসে। ঢাকার রাস্তার তীব্র যানজট ও বাস সেক্টরের দূরবস্থা তাদের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছিল। ঘণ্টার পর ঘণ্টা জ্যামে বসে দুর্বিষহ একটি সময় পার করে ক্যাম্পাসে পৌঁছাতে হয়। তারা মিরপুর থেকে ২০ মিনিটে এবং উত্তরা থেকে আধা ঘণ্টারও কম সময়ে ক্যাম্পাসে পৌঁছাতে পারবে।