কক্সবাজারের টেকনাফে ইয়াবা ক্রয়-বিক্রয়ের লেনদেনের জের ধরে দুই যুবককে টানা চার দিন শেকলবন্দি করে রেখেছিল একটি চক্র। এরপর পরিবারের সদস্যের ফোন করে দাবি করা হয়েছিল ২২ লাখ টাকার মুক্তিপণ। অন্যথায় দুই যুবককে হত্যার হুমকি দেয়া হয়। কিন্তু টেকনাফ থানার পুলিশ দীর্ঘ ৮ ঘণ্টার অভিযান চালিয়ে গত সোমবার মধ্যরাতে শিকলবন্দি দুই যুবককে উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় ইয়াবা সিন্ডিকেটের এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল সকালে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ থানার ওসি মুহাম্মদ ওসমান গনি।
উদ্ধার হওয়া দুই যুবক হলেন, কক্সবাজারের উখয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের মালভিটা গ্রামের মো. ইদ্রিসের পুত্র মো. জাহাঙ্গীর আলম (২৫) ও একই ইউনিয়নের শিকদার বিল গ্রামের মঞ্জুর আলমের ছেলে নুরুল আমিন (২৫)। গ্রেপ্তার যুবক ওমর ফারুক (২২) টেকনাফ পৌরসভার ডেইলপাড়ার বশির আহমদের ছেলে।
টেকনাফ থানার ওসি মুহাম্মদ ওসমান গনি জানিয়েছেন, টানা ৮ ঘণ্টার অভিযানে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় সোমবার মধ্যরাতে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের রাজারছড়া এলাকার জাগির আহমদের বসতঘর থেকে শিকলবন্দি দুইজনকে উদ্ধার করে গ্রেপ্তার করা হয় একজনকে। এ সময় এ ঘটনায় জড়িত আরো সাতজন পালিয়ে গেছে।
ওসি জানান, ইয়াবা ক্রয়-বিক্রয়ের লেনদেনের জের ধরে দুই যুবককে গত ৭ ডিসেম্বর কৌশলে জিম্মি করে শেকলবন্দি করে রাখে এই সিন্ডিকেট। এরপর পরিবারের সদস্যের ফোন করে ২২ লাখ টাকার মুক্তিপণ দাবি করে। অন্যথায় দুই যুবককে হত্যার হুমকি দেয়া হয়। ওই দুই যুবকের পরিবার জিম্মি করা চক্রের সঙ্গে দফায় দফায় যোগাযোগ করে টাকা পরিশোধের জন্য আলোচনা করলেও পুলিশকে অবহিত করেছে দেরিতে। পুলিশকে অবিহিত করার পর সোমবার তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় দুই যুবকে উদ্ধার করে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে মাদক ক্রয়-বিক্রয়ের লেনদেনের জন্য এমন অপহরণের ঘটনাটি ঘটেছে। এ ব্যাপারে টেকনাফ থানায় নিয়মিত মামলা হয়েছে। মামলার এজাহারভুক্ত পালাতক অপর সাতজনকে গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে বলে জানান তিনি।