গাজায় মানবিক যুদ্ধবিরতির পক্ষে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতায় একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে। ১৯৩ সদস্য বিশিষ্ট পরিষদে এই প্রস্তাব পাস হয়েছে।
প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে ১৫৩টি দেশ। ভোট দেওয়া থেকে বিরত থেকেছে ২৩ দেশ এবং ১০টি দেশ প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যদিও সাধারণ পরিষদে পাস হওয়া এই রেজোলিউশনটি মানা বাধ্যতামূলক নয়, তারপরও এটি বৈশ্বিক মতামতের সূচক হিসেবে কাজ করে থাকে।
জাতিসংঘে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত আব্দুল আজিজ আলওয়াসিল ভোটের পরে জানিয়েছেন, যারা এই খসড়া প্রস্তাবটিকে সমর্থন করেছেন তাদের আমরা ধন্যবাদ জানাই। এতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মতামত প্রতিফলিত হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
গাজায় ইসরাইলি হামলায় এখন পর্যন্ত ১৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ৫০ হাজারের কাছাকাছি। এর আগে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যাওয়ার জন্য গাজা স্ট্রিপের কোথাও কোনো নিরাপদ স্থান নেই। কারণ সেখানে ইসরাইলের প্রাণঘাতী হামলা অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, গাজায় নির্বিচারে বোমা হামলা চালানোর কারণে বিশ্বজুড়ে সমর্থন হারাচ্ছে ইসরাইল। ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের পক্ষ থেকে ইসরাইলের নেতৃত্বের সমালোচনা করে এটাই সবচেয়ে কড়া বিবৃতি। যুক্তরাষ্ট্রের ২০২৪ সালে পুনরায় নির্বাচনের প্রচারণায় ডেমোক্র্যাট দলের ডোনারদের অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট বাইডেন এসব কথা বলেছেন। কিন্তু গত ৭ অক্টোবর হামাস ইসরাইলের ভেতরে হামলা চালানোর পর থেকে ইসরাইলের প্রতি প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে অকুণ্ঠ সমর্থন দিতে দেখা গেছে। সূত্র : আল-জাজিরা
গাজায় টানেলে পানি ঢালতে শুরু করেছে ইসরাইল :
হামাসকে বাইরে বের করে নিয়ে আসতে গাজায় টানেলের মধ্যে পানি ঢালতে শুরু করেছে ইসরাইল। মার্কিন এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে সিএনএন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, প্রথমে সীমিত পরিসরে টানেলগুলোতে সমুদ্রের পানি ছাড়া হচ্ছে। ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এই ব্যবস্থা কার্যকর হবে কি না, তা ইসরাইল জানে না। তবে যুক্তরাষ্ট্রকে আশ্বস্ত করে জানানো হয়েছে, যেসব টানেলে জিম্মিদের রাখা হয়েছে সেখানে পানি ঢালা হচ্ছে না। পরীক্ষামূলকভাবে কিছু টানেলে পানি প্রবেশ করানো হচ্ছে। ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, ফিলিস্তিনির স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের কাছে এখনো ১৩৫ জনের বেশি জিম্মি রয়েছে। তাদের মধ্যে যুক্তরাষ্টের নাগরিকও রয়েছেন। লোহিত সাগরে চারটি যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করেছে দখলদার ইসরাইল। সামাজিক মাধ্যমে ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ইয়েমেনের হুথি সমর্থিত সামরিক বাহিনী লোহিত সাগরে ইসরাইলের কয়েকটি জাহাজ আটক এবং ইসরাইল অভিমুখী জাহাজে হামলার পর ইসরাইলি সেনারা এই ব্যবস্থা নিল।
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি সেনারা দুই মাস ধরে যে বর্বর সামরিক আগ্রাসন চালাচ্ছে তার অবসানের দাবিতে ইয়েমেনের সেনারা ইসরাইলি জাহাজে হামলা চালিয়েছে এবং কিছু জাহাজ আটক করেছে।হামাসকে বাইরে বের করে নিয়ে আসতে গাজায় টানেলের মধ্যে পানি ঢালতে শুরু করেছে ইসরাইল। মার্কিন এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে সিএনএন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, প্রথমে সীমিত পরিসরে টানেলগুলোতে সমুদ্রের পানি ছাড়া হচ্ছে। ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এই ব্যবস্থা কার্যকর হবে কি না, তা ইসরাইল জানে না। তবে যুক্তরাষ্ট্রকে আশ্বস্ত করে জানানো হয়েছে, যেসব টানেলে জিম্মিদের রাখা হয়েছে সেখানে পানি ঢালা হচ্ছে না। পরীক্ষামূলকভাবে কিছু টানেলে পানি প্রবেশ করানো হচ্ছে।
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, ফিলিস্তিনির স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের কাছে এখনো ১৩৫ জনের বেশি জিম্মি রয়েছে। তাদের মধ্যে যুক্তরাষ্টের নাগরিকও রয়েছেন।
লোহিত সাগরে চারটি যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করেছে দখলদার ইসরাইল। সামাজিক মাধ্যমে ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ইয়েমেনের হুথি সমর্থিত সামরিক বাহিনী লোহিত সাগরে ইসরাইলের কয়েকটি জাহাজ আটক এবং ইসরাইল অভিমুখী জাহাজে হামলার পর ইসরাইলি সেনারা এই ব্যবস্থা নিল। ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি সেনারা দুই মাস ধরে যে বর্বর সামরিক আগ্রাসন চালাচ্ছে তার অবসানের দাবিতে ইয়েমেনের সেনারা ইসরাইলি জাহাজে হামলা চালিয়েছে এবং কিছু জাহাজ আটক করেছে।
